করোনাভাইরাস সংক্রান্ত ‘জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি’ দেশে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ প্রতিরোধে পাঁচ দফা সুপারিশ করেছে। এতে সামাজিক অনুষ্ঠান ও বইমেলা বন্ধ এবং হাসপাতালগুলোতে করোনা ইউনিটে শয্যা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সুপারিশ প্রণয়ন ও সরকারকে এর কার্যকর বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।
বিকেলে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভায় নিম্ন বর্ণিত সুপারিশসমূহ গৃহীত হয়।
কমিটির পাঁচ দফা সুপারিশ
Advertisement
>সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা
কমিটির সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ রোধে জারিকৃত ১৮ দফা নির্দেশনা জারিকে স্বাগত ও ধন্যবাদ জানিয়ে ১৮ দফা কর্মসূচি বা প্রস্তুতি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন।
>সাধারণ ও আইসিইউ বেড বৃদ্ধি
রাজধানীসহ দেশের হাসপাতালগুলোতে কোভিড-১৯ রোগীর শয্যা সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। আইসিইউতেও শয্যা বাড়ানো দরকার। ঢাকার বাইরে মেডিকেল কলেজগুলোর সক্ষমতা বাড়িয়ে সেখানে এলাকার রোগীর চিকিৎসা করা দরকার।
Advertisement
>নমুনা পরীক্ষার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি
কোভিড-১৯ এর জন্য নমুনা পরীক্ষা করতে আসা মানুষ যাতে সহজে সেবা পায়, তার ব্যবস্থা করা দরকার। আগামী দিনগুলোতে করোনা নমুনা পরীক্ষার চাহিদা বাড়তে পারে, সেটি মাথায় রেখে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি প্রয়োজন।
>সামাজিক অনুষ্ঠান ও মেলা বন্ধ করা
সংক্রমণ প্রতিরোধে অবিলম্বে সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্র, বইমেলা ও অন্যান্য মেলা বন্ধ করা দরকার। পরিবহনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা সম্পর্কে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনা যাতে পালন করা হয়, সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠাগুলোতে স্বাস্থ্য বিধিমানার ব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে দিকনির্দেশনা নেয়া যেতে পারে।
>ভ্যাকসিন-পরবর্তী সার্ভিল্যান্স ও জেনেটিক সিক্যুয়েন্সিং
পোস্ট ভ্যাকসিনেশন সার্ভিল্যান্সের উদ্যোগকে ‘ভালো’ মন্তব্য করে বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি বোঝার জন্য জেনেটিক সিক্যুয়েন্সিং করা দরকার। এ জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
এমইউ/এএএইচ/জেআইএম