অনেক খারাপের মাঝেও যে জয়ের সম্ভাবনা দেখা যায়নি, তা নয়। এবারের নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়াডেতে আর টি টোয়েন্টিতে একবার করে জয়ের সম্ভাবনা উঁকি দিয়েছিল। প্রথমবার ব্যাটিংটা ভালো করলেও বোলিং আর ফিল্ডিং আশানুরূপ ছিল না।
Advertisement
আর নেপিয়ারে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বোলিং-ফিল্ডিংটা মোটামুটি ভাল হলেও ব্যাটিংয়ের শেষটা ভাল হয়নি। সৌম্য সরকারের সাহসী ব্যাটিং জয়ের পথ দেখালেও বাকিরা তাল মেলাতে না পারায় জয়ের সুযোগ হয়েছে হাতছাড়া।
বারবার প্রমাণ হচ্ছে, একটি বিচ্ছিন্ন ডিপার্টমেন্টে ভাল করলে আর নির্দিষ্ট সময় ভাল খেললেই চলবে না। পুরো ম্যাচে ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিং হতে হবে ভাল এবং কোন সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। ভাল খেলার সম্ভাব্য সবকিছু নিশ্চিত করতে হবে। তবেই কেবল জয় ধরা দেবে।
এ সহজ সত্য উপলব্ধি আছে টিম বাংলাদেশেরও। শেষ ম্যাচের ২৪ ঘন্টা আগে সৌম্য সরকার নিজে বলেছেন, আমরা যে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কিউইদের হারাতে পারব না, এমন নয়। সেটা সম্ভব। তবে দরকার টিম পারফরম্যান্স এবং তিন ডিপার্টমেন্টের একসাথে জ্বলে ওঠা।
Advertisement
আজ (১ এপ্রিল) অকল্যান্ডে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সেই টিম পারফরম্যান্স আর ব্যাটিং, বোলিং-ফিল্ডিংয়ের একসাথে জ্বলে ওঠার আশায় প্রতিটি বাংলাদেশ সমর্থক। তবে তাদের জন্য আছে নিদারুণ দুঃসংবাদ। বৃহস্পতিবার অকল্যান্ডে টিম বাংলাদেশকে মাঠে নামতে হচ্ছে এক ঝাঁক তরুণকে নিয়ে।
আগের দুই ম্যাচ কাঁধের ব্যথায় খেলতে পারেননি মুশফিকুর রহীম। এ ম্যাচেও তার খেলার সম্ভাবনা ছিল খুব কম। জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে নির্বাচক হাবিবুল বাশার ও টিম লিডার জালাল ইউনুস বুধবার অমন আভাসই দিয়েছিলেন। সেটাই সত্য।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার কাকডাকা ভোরে (নিউজিল্যান্ডে তখন দুপুর ১টা) জালাল জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, আজকের ম্যাচে মুশফিকুর রহীম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কেউই নেই। দুজনেরই ফিটনেসে সমস্যা আছে। মানে ইনজুরিজনিত ম্যাচ ফিটনেসের অভাব। তাই তাদের সার্ভিস আজ পাওয়া যাবে না। মুশফিক টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরু থেকেই নেই। আর অধিনায়ক রিয়াদও আজ খেলতে পারবেন না।
এখন একটাই প্রশ্ন, তাহলে শেষ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করবেন কে? তবে কি ঘরোয়া আসরে দল পরিচালনায় মেধা, বুদ্ধি ও দক্ষতার ছাপ রাখা নাজমুল হোসেন শান্তকে দল পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে একাদশে অন্তর্ভুক্ত করা হবে? নাকি লিটন, সৌম্য বা মিঠুনের মধ্য থেকে কেউ ক্যাপ্টেন্সি করবেন?
Advertisement
এ প্রশ্নের জবাবে জালাল ইউনুস কিছু জানাননি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হতে পারে, মিঠুন-শান্তর কেউ একজন অধিনায়কের গুরুদায়িত্ব পালন করবেন। তবে ভেতরের খবর আছে ভিন্ন। মিঠুন বা শান্ত নয়, প্রথমবারের মতো অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করতে চলেছেন লিটন দাস।
এদিকে আজ মাহমুদউল্লাহ খেলতে না পারলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক নতুন ইতিহাস লেখা হবে। মাশরাফি তো চারবছর আগে থেকেই নেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। সাকিব ছুটিতে আর তামিম ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ফিরে এসেছেন দেশে। মুশফিকের কাঁধের ইনজুরি। এখন রিয়াদের কোথায় সমস্যা? টিম ম্যানেজমেন্ট তা প্রকাশ করেনি। তবে জানানো হয়েছে অধিনায়কেরও ফিটনেস প্রবলেম আছে।
যদি তাই হয়, তাহলে প্রায় দেড় দশকের বেশি সময় পর প্রথমবার ‘পঞ্চ পান্ডবের’ একজন ক্রিকেটারও থাকবেন না টাইগার একাদশে. মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক আর মাহমুদউল্লাহ ছাড়া বাংলাদেশ দল এতদিন ছিল কল্পনারও বাইরে, তবে কি আজ ১ এপ্রিল, অকল্যান্ডে সেই অভাবনীয় ঘটনা ঘটনা ঘটবে?
এআরবি/এসএএস/এমকেএইচ