টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ব্যবসায়ী আব্বাস হত্যা মামলার প্রধান আসামি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জসিমকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার ভোরে মির্জাপুর পৌরসভার বাওয়ার কুমারজানি গ্রামের পূর্বপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জসিম সদরের বাওয়ার কুমারজানি গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে। জানা গেছে, ব্যবসায়ী আব্বাসের স্ত্রী সাজেদা বেগমের সঙ্গে একই গ্রামের কালু মিয়ার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে সাজেদা বেগম তার স্বামী আব্বাসকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সাজেদা, কালু মিয়া ও সাজেদার ভাই জসিম মিলে ভাড়াটিয়া খুনি রাইজ উদ্দিন, জালাল ও ছানোয়ারকে নিয়ে ২০০৪ সালের ৪ নভেম্বর রাতে মির্জাপুর বাজারের ব্যবসায়ী আব্বাসকে হত্যা করে বাওয়ার কুমারজানি গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ফেলে রাখে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। এই হত্যার ঘটনায় আব্বাসের বড় ভাই আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে ১৮ নভেম্বর কালু ও রাইজ উদ্দিনসহ ৮ জনেক আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলহাজ লায়ন মো. শফিকুল ইসলাম রিপনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য়) আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া ১২ আগস্ট এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। এতে ৬ জনকে যাবজ্জীবন ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এই মামলা থেকে অপর দুই আসামিকে খালাস দেয়া হয় বলে তিনি জানান।দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মির্জাপুর উপজেলার পৌর সদরের বাওয়ার কুমারজানি গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে জসিম, আব্বাসের স্ত্রী সাজেদা বেগম, নশকর আলীর ছেলে কালু মিয়া, কটু মিয়ার ছেলে রাইজ উদ্দিন, মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর গ্রামের মাসুদ শেখের ছেলে জালাল ও ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার নান্নার গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে ছানোয়ার। তারা সকলেই টাঙ্গাইল জেলহাজতে রয়েছেন বলে জানা গেছে। এই মামলায় আদালতের বিচারক ধামরাই এলাকার পারভেজ ও মুক্তার নামে দুই আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। এদিকে, হত্যা মামলার প্রধান আসামি জসিম মঙ্গলবার রাতে বাওয়ার কুমারজানি গ্রামে চুরি করে পালানোর সময় এলাকাবাসী ধাওয়া করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। মির্জাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ী আব্বাস হত্যা মামলার প্রধান আসামি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জসিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাভার, ধামরাইসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।এসএস/এমএস
Advertisement