মজলিসে বা অন্য কোথাও কথা বলতে গেলেই ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছায় ভুল হয়ে থাকে। ভুল হয়ে গেলেই আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার বিকল্প নেই। এ অবস্থায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে ইসতেগফার পড়তেন এবং উম্মতের জন্যও একটি দোয়া পড়তে বলেছেন।
Advertisement
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো মাজলিস থেকে উঠে যাওয়ার আগে এক শতবার বলতেন-
رَبِّ اغْفِرْ لِي وَتُبْ عَلَىَّ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الْغَفُورُ
উচ্চারণ : ‘রাব্বিগফিরলি ওয়াতুব আলাইয়্যা ইন্নাকা আংতাত তাওয়্যাবুল গাফুর।’
Advertisement
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও এবং আমার তাওবা গ্রহণ কর। কারন তুমিই তাওবাহ কবুলকারী, ক্ষমাকারী।’ (ইবনে মাজাহ, তিরমিজি)
দ্বীনি মজলিসে ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেক সময় ভুল কথা কিংবা আলোচনাও হয়। মজলিসের কিংবা বয়ানের এসব ভুল কথার গোনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনায় একটি দোয়া পড়ার কথা বলেছেন বিশ্বনবি। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে লোক মজলিসে বসে প্রয়োজন ছাড়া অনেক কথা-বার্তা বলেছে, সে উক্ত মাজলিস হতে উঠে যাওয়ার আগে যদি বলে-
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ
Advertisement
উচ্চারণ : সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লাই ইলাহা ইল্লা আংতা আসতাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলিইকা।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি পবিত্র এবং সমস্ত প্রশংসা তোমার জন্য। আমি সাক্ষ্য দেই যে, তুমি ব্যতীত আর কোন মাবুদ নেই, তোমার কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি।’ তাহলে উক্ত মজলিসে তার যে অপরাধ হয়েছিলো তা ক্ষমা করে দেয়া হবে।’ (তিরমিজি, মিশকাত)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোথাও কোনো কথাবার্তা বললে কিংবা মজলিসে বা দরবারে আলোচনা বা কথাবর্তা বলার পর এ দোয়া দুইটি বেশি বেশি পড়া। আর এতে আল্লাহ তাআলা বান্দার কথাবার্তার গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কথাবার্তার ভুলের গোনাহ থেকে ক্ষমা পাওয়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস