করোনাভাইরাসের উৎস নিয়ে নতুন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিশ্বের ১৪টি দেশ এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
Advertisement
করোনাভাইরাস চীনের একটি গবেষণাগার থেকে ছড়িয়েছে, চূড়ান্তভাবে এমন রায় দেওয়ার আগে আরও তদন্ত করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস।
তিনি বলেছেন, গবেষণাগার থেকে দুর্ঘটনাবশত ভাইরাসটি ছড়িয়েছে, এ সম্ভাবনা সবচেয়ে কম হওয়া সত্ত্বেও আরও গবেষণা হওয়া দরকার।
তবে এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে পর্যাপ্ত তথ্য দিতে ব্যর্থ হওয়ায় চীনের সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ। যদিও গবেষণাগার থেকে ভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছে চীন।
Advertisement
মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং চীনের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়েছে, গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা অত্যন্ত কম আর সম্ভবত ভাইরাসটি বাদুর থেকে অন্য কোনো প্রাণী হয়ে মানুষের মাঝে ছড়িয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু বলার আগে আরও তদন্ত দরকার বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। উহান শহরে কয়েক সপ্তাহ ধরেই করোনার উৎস সম্পর্কে জানতে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল।
চার সপ্তাহ ধরে তদন্ত শেষে ১৭ জন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞের টিম এই সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছে যে, ল্যাব থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি নয়। যদি করোনা প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ চীনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলে আসছে।
মঙ্গলবার আরও পরের দিকে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া এবং ইসরায়েল, জাপান, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, নরওয়ে, কোরিয়া, স্লোভেনিয়া এবং যুক্তরাজ্য এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, করোনার উৎপত্তি এবং ভাইরাস ছড়িয়ে পড়াসহ করোনা মহামারির ইতি ঘটাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা এর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায়। তবে সেখানে এটাও বলা হয়েছে যে, ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে তাদের মধ্যে উদ্বেগ থাকাটা স্বাভাবিক।
Advertisement
টিটিএন/এমকেএইচ