আন্তর্জাতিক

ভ্যাকসিনের লক্ষ্যমাত্রার ৮৫ শতাংশই পূরণ হয়নি অস্ট্রেলিয়ায়

মার্চের ৩১ তারিখের মধ্যে ৪০ লাখ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশটিতে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে মাত্র ৫ লাখ ৯৭ হাজার ডোজ। অর্থাৎ এখনও প্রায় ৩৪ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ বাকি রয়ে গেছে।

Advertisement

দেশটির ব্রিসবেন শহরে আবারও লকডাউন ঘোষণার দুইদিন পর লক্ষ্যমাত্রার ৮৫ শতাংশ ঘাটতির বিষয়টি সামনে আসে। এরপর থেকে সরকারের ভ্যাকসিন কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।

মঙ্গলবার দেশটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পল কেলি জানান, এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৫ লাখ ৯৭ হাজার ডোজ করোনার টিকা দেয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ায় করোনা সংক্রমণের হার কম থাকায় এখনই জরুরিভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগের দাবি রাখে না।

Advertisement

তবে গত জানুয়ারিতে এক ঘোষণায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন মার্চের ভেতরেই ৪০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়া হবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন।

চলতি মাসের শুরুতে সরকারের পক্ষ থেকে স্বীকার করে নেয়া হয় যে, এই কার্যক্রম সঠিকপথে নেই এবং ভ্যাকসিনের লক্ষ্যমাত্রার সময় মার্চ থেকে বাড়িয়ে এপ্রিল করা হয়। এছাড়াও অক্টোবরের মধ্যে দেশটির প্রত্যেক নাগরিককে পুরোপুরি টিকা দেয়ার প্রতিশ্রুতিও বাতিল করে সরকার।

মহামারি শুরুর পর থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৩শ জন এবং এতে মারা গেছেন ৯০৯ জন। যা অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় অনেক কম।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় দেশটির ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ শহরে লকডাউন দিয়েছে সরকার। সমালোচকরা বলছেন, ব্রিসবেনে করোনার প্রকোপ স্পষ্ট করছে, দ্রুত ভ্যাকসিন কার্যক্রম কতটা জরুরি।

Advertisement

সরকার টিকাদান কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারেনি বলে অভিযোগ করছেন সমালোচকরা। তাদের দাবি, সরকার ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে এই কার্যক্রম পরিচালনায় গরমিল করা শুরু করেছে।

এআরএ/টিটিএন/এমকেএইচ