খেলাধুলা

ধারের টাকায় হয় গেইল-পোলার্ডদের বেতন

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের নিত্যদিনের সমস্যা অর্থনৈতিক টানাপোড়েন। করোনাভাইরাসের কারণে খেলাধুলা বন্ধ থাকায় আরও প্রকট হয়েছে ক্যারিবীয় ক্রিকেট বোর্ডের এই সমস্যা। যার ফলে ধার নিয়ে খেলোয়াড় ও অন্যান্য স্টাফদের বেতন পরিশোধ করেছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই)।

Advertisement

করোনার কারণে গতবছরের মার্চে বন্ধ করে দেয়া হয় সবধরনের ক্রিকেট। এরপর জুলাই মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ইংল্যান্ড সফরের মাধ্যমেই পুনরায় মাঠে গড়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এরপর তারা নিউজিল্যান্ড এবং বাংলাদেশ সফর করেছে। আর এখন ঘরের মাঠে স্বাগত জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলকে।

মাঠের খেলা সচল রাখলেও, মাঠের বাইরে ক্যারিবীয় বোর্ডের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নেই। সিডব্লিউআই প্রধান রিকি স্কেরিট জানিয়েছেন করোনার কারণে এখন ধার নিয়ে খেলোয়াড় ও স্টাফদের বেতন দিয়েছে বোর্ড। এছাড়া আগের কার্যনির্বাহী পরিষদের রেখে যাওয়া ঋণের বোঝাও বইতে হচ্ছে তাকে। যা এখন অনেক কমিয়ে আনতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন স্কেরিট।

ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে স্কেরিট বলেছেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল, টাকা হাতে পাওয়ার আগেই আমাদের খরচ শুরু হয়ে গিয়েছিল। আমরা ভবিষ্যতের আয়ের ওপর নির্ভর করছিলাম। যে কারণে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২ কোটি ডলার। সেই ঋণ শোধ করতে আমরা আবার ধার করছি। এটা হয়তো স্বল্প মেয়াদে কার্যকরী পরিকল্পনা। কিন্তু এটা আমাদের প্রকট সমস্যার রূপ নিয়েছে।’

Advertisement

তিনি আরও যোগ করেন, ‘তাই আমরা হাত গুটিয়ে নিতে শুরু করি এবং লাভ-ক্ষতির হিসেব বাদ দিয়ে নগদ অর্থের দিকে ঝুঁকি। পাশাপাশি সকল অপ্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে দেই। দুই বছরের মধ্যে আমরা ঋণের পরিমাণ অন্তত এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনতে পেরেছি।’

গতবছর পর্যন্ত ধারের টাকায় খেলোয়াড়দের বেতন দেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এতে আমাদের বেশ কিছু ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে আমরা আমাদের সক্ষমতা বাড়িয়েছি। যদিও আমরা চাহিদার অনেক কিছুই পূরণ করতে পারিনি। আমরা বেতন দেয়ার জন্য ধার করছিলাম। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম বছর এটা করেছি, যা গতবছরের গ্রীষ্ম পর্যন্ত চলমান ছিল। খেলোয়াড় এবং স্টাফদের বেতন দেয়ার জন্যও আমাদের ধার করতে হয়েছে।’

এসএএস/জিকেএস

Advertisement