স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দেশে করোনা আক্রান্তের হার ছিল মাত্র ২ শতাংশের মতো। বর্তমানে তা হয়ে গেছে প্রায় ১৩ শতাংশ। প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মুহূর্তে করোনার উৎপত্তিস্থল বন্ধ করতে না পারলে দেশের অর্থনীতির চাকা থমকে যেতে পারে, মানুষের বড় রকমের আর্থিক সংকট দেখা দিতে পারে।’
Advertisement
‘এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বেশ কিছু প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ১) যেসব এলাকায় সংক্রমণের হার বেশি সে এলাকাগুলোতে সম্ভব হলে আংশিক লকডাউন দেয়া; ২) বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা; ৩) পিকনিক, ওয়াজ-মাহফিল বন্ধ রাখা; ৪) বিয়ে-সাদির অনুষ্ঠান সীমিত কর; ৫) কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা জোরদার করা; ৬) সকল যানবাহন, বাস, স্টিমারে যাত্রী অর্ধেক বা তার চেয়ে কম রাখা; ৭) অফিস-আদালতে কম আসা যাওয়া করা; ৮) মুখে মাস্ক ছাড়া সব ধরনের সার্ভিস না দেয়া; ৯) মোবাইল কোর্ট বাড়িয়ে দিয়ে জরিমানা ব্যবস্থা জোরদার করাসহ আরও বেশ কিছু প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যেই এ ব্যাপারে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হবে।’
সোমবার (২৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে হাসপাতাল ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটকে বিশ্বের অন্যতম একটি চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের আরও গতিশীল হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। এই ভবনটিকে চার তলা থেকে আট তলাবিশিষ্ট করা এবং বেড ৪১৪টি থেকে ১২৫০ বেডে উন্নীত করতে পারায় দেশের অসহায় বহু রোগী চিকিৎসা সেবা পাবেন বলে মন্ত্রী জানান।
Advertisement
পাশাপাশি দেশের আট বিভাগে আটটি বিশেষ হাসপাতাল নির্মাণের কাজ অনেক এগিয়ে গেছে বলেও জানান মন্ত্রী। এই আট হাসপাতাল নির্মাণের পর দেশে হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য আরও অন্তত ১ হাজার ৪০০ বেড বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর মীর জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নানসহ অন্যান্য অতিথিরা।
এমইউ/এআরএ/এমকেএইচ
Advertisement