বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার মাধবকাঠি সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে কেন্দ্রসচিব, হল সুপার ও সহকারী হল সুপারকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শামিমা আক্তার তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবার কথা স্বীকার করেন।দোষী শিক্ষদের মধ্যে রয়েছেন মাধবকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব নাসিমা শিরিন, ওই কেন্দ্রের হল সুপার আলিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাপিয়া বসু ও সহকারী হল সুপার বটতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইশারাত আলী।সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাধবকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ৩১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। ওই কেন্দ্রর দুটি কক্ষের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৮ জন পরীক্ষার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার খাতার পরিবর্তে ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষার খাতা সরবরাহ করা হয়।যথারীতি সকাল ১১টায় শুরু হওয়া পরীক্ষা দুপুর দেড়টায় শেষ হলেও কেন্দ্রসচিব, হল সুপার সহকারী হলসুপারসহ ওই দুটি কক্ষের জন্য নির্ধারিত পাঁচজন কক্ষ পরিদর্শকদের কারোরই চোখে খাতা পরিবর্তনের বিষয়টি নজরে পড়েনি।এ অবস্থায় ওই কেন্দ্রের পরীক্ষা শেষে বিকেলে খাতা কোডিংয়ের সময়ে কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী শিক্ষা অফিসারদের চোখে বিষয়টি ধরা পড়ে। উল্লেখ্য ইবতেদায়ী সমাপনী ও প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার কাভার পেজ একটির সঙ্গে অন্যটির যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে।এ বিষয়ে কচুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শামিমা আক্তারের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, দুটি কক্ষে অনিয়ম হয়েছে। এ জন্য কেন্দ্রসচিব, হল সুপার ও সহকারী হল সুপারের দায়িত্বহীনতার বিষয়টির জন্য তাদেরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।ক্রুটিপূর্ণ ৩৮টি খাতা তাদের হাতে রয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার লিখিতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে তিনি জানান।শওকত আলী বাবু/বিএ
Advertisement