স্বাধীনতা দিবসে ‘মানুষ হত্যা’ ও ‘পুলিশি হামলার’ অভিযোগ এনে বরিশালে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল বের করতে চাইলে বাধা দিয়ে তা পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ।
Advertisement
সোমবার (২৯ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নগরীর সদর রোড টাউনহল-সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করা হয়। এসময় পুলিশ সদস্যরা মিছিলে বাধা দেন। পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে বাধার মুখে মিছিল না করতে পেরে সেখানেই কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়।
এর আগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
মহানগর বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ারের সভাপতিতেত্ব সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, মহানগর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন সিকদার জিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আকবর হোসেন,সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক তারিন, মহানগর মহিলা দল নেত্রী শামীমা আকবর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
Advertisement
সমাবেশে বিএনপি নেতারা বলেন, বর্তমান সরকার পাখির মতো মানুষ মারছে। এখন পর্যন্ত ১৭ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। স্বাধীন দেশের স্বাধীনতা দিবসে মানুষ হত্যা ও পুলিশি হামলা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
‘বর্তমান সরকার স্বাধীনতাবিরোধী’ আখ্যায়িত করে তারা আরও বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে রক্ত ঝরানোর দায় সরকারকে নিতে হবে। গত কয়েকদিনে সরকারের পেটুয়া বাহিনী দিয়ে জনগণের ওপরে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে।
এদিকে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নগরীর টাউনহল ও তার আশপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করার চেষ্টা করেছিল। এতে ব্যস্ততম সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ও বিশৃঙ্খলা ঘটার আশঙ্কা ছিল। মিছিলের জন্য অনুমতিও নেয়া হয়নি। এ কারণে পুলিশ তাদের মিছিল করতে দেয়নি।
Advertisement
তিনি আরও জানান, জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্যই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ।
এদিকে মহানগর ছাত্রদলের উদ্যোগে নগরীর কালিবাড়ী রোড সরকারি বরিশাল কলেজের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল থেকে সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দেয়া হয়।
সাইফ আমীন/এসআর/এমকেএইচ