গত ৬ মাসে এই প্রথম করোনায় কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে। সোমবার (২৯ মার্চ) ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ২৮ মার্চ লন্ডনে করোনায় মৃত্যুর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
Advertisement
গত বছরের এপ্রিলে লন্ডনে করোনা সংক্রমণ সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছিল। শহরটিতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৩০ জন করোনা রোগী মারা যেত।
নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) চিকিৎসক জিম ডন বিবিসিকে জানিয়েছেন, গত সেপ্টেম্বরের পর এই প্রথম মৃত্যুশূন্য হওয়াটা দুর্দান্ত মাইলফলক। কিন্তু সবকিছু স্বাভাবিক হতে আমাদের আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যুর ১২ শতাংশই লন্ডনের। গতবছর এই শহর করোনা সংক্রমণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।
Advertisement
সেসময় ইউনিভার্সিটি কলেজ হাসপাতালগুলোর আইসিইউ-তে প্রতিদিন প্রায় দুই অথবা তিনজন রোগী মারা যেত বলে জানান নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের চিকিৎসক জিম ডন।
আজকের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আইসিইউ থেকে প্রায় সাতজন রোগীকে নামিয়েছি। আশা করছি তারা সবাই সুস্থ হয়ে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, এটা চমৎকার উপলব্ধি, কিন্তু নতুন চ্যালেঞ্জও বটে। করোনা হতে সুস্থ হওয়াদের কারও হাঁড়ের প্রতিস্থাপন প্রয়োজন কারও আবার প্রয়োজন ক্যানসারের চিকিৎসার। এ সবকিছুর পরও আপনাকে তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখতে হবে।
ডন বলেন, যারা ফ্রন্টলাইনে থেকে লাইফ সাপোর্ট দিচ্ছিলেন, তাদের অনেকে নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। এই মহামারি তাদের অনেক সহকর্মীকেও কেড়ে নিয়েছে।
Advertisement
এই চিকিৎসক আরও আশংকা প্রকাশ করে বলেন, ২৯ মার্চের পর যদি সবকিছু শিথিল হয়, দু'টি পরিবার অথবা ছয় জনের একটি গ্রুপ ঘরের বাইরে জমায়েত হতে পারবে। মাঠে খেলার সুবিধা যেমন টেনিস কোর্ট, সুইমিং পুল এবং গলফ খেলার জায়গাগুলো পুনরায় খুলে দেওয়া হবে। গণজমায়েত হয় এমন আরও অনেক খেলা পুনরায় চালু হবে। ফলে সংক্রমণ আবার বাড়তে পারে।
মহামারি শুরুর পর থেকে লন্ডন শহরে প্রায় ৭ লক্ষ ৮ হাজার মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে টানা ২৮ দিনেই প্রায় ১৫ হাজার মানুষ মারা গেছেন।
করোনাকালে লন্ডনের হাসপাতালগুলো মোট ১৮ হাজার লোকের মৃত্যুর সনদ দিয়েছে।
এসএইচএস/এমএস