বিনোদন

দেশের চলচ্চিত্র ও পরিচালকদের জন্য কাজ করে যেতে চাই : শাহীন সুমন

তাকে বলা হয় বাংলা ছবির ড্যাশিং ডিরেক্টর। সফল ছবির নির্মাতা হিসেবেও তার পরিচিতি আছে। তার পরিচালনাধীন ছবি মানেই দর্শকের হলে আসা। চলচ্চিত্রের মন্দা বাজারেও তিনি ব্যবসা সফল ছবি উপহার দিয়ে ম্যাজিক দেখাতে পারেন। বলছি জনপ্রিয় নির্মাতা শাহীন সুমনের কথা।

Advertisement

ইন্ডাস্ট্রিতে একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে তার সুনাম আছে। বিশেষ করে কোনো চলচ্চিত্র পরিচালকের সমস্যায় তিনি এগিয়ে যান সবার আগেই। চেষ্টা করেন পাশে থেকে সমস্যা সমাধানের। শিল্পীরাও তার নেতৃসুলভ আচরণে মুগ্ধ। গেল কয়েক বছরে নানা ইস্যুতে টালমাটাল চলচ্চিত্রপাড়ায় শাহীন সুমনের ভূমিকা ছিলো প্রশংসনীয়।

ঢাকাই সিনেমার এই সফল নির্মাতা গেল দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে। এবারে তিনি প্রার্থী হয়েছেন মহাসচিব পদে।

আগামী ২ এপ্রিল বাংলাদেশর চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সভাপতি পদপ্রার্থী সোহানুর রহমানের প্যানেল থেকে মহাসচিব পদে লড়ছেন শাহীন সুমন ওরফে শাহীন খান।

Advertisement

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি কেমন জানতে চাইলে এই নির্মাতা বলেন, ‘আমি যখন যে কাজটি করি তার জন্য শতভাগ প্রস্তুতি নিয়েই করি। যতদিন ধরে চলচ্চিত্রের সঙ্গে আছি সবসময় এদেশের চলচ্চিত্র, চলচ্চিত্রের প্রতিটি মানুষকে ভালোবেসে কাজ করেছি। নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি এই ইন্ডাস্ট্রির একজন সেবক হিসেবে। চেষ্টা করেছি আজীবন মানুষের ভালোবাসা সঞ্চয় করতে। নিজের সাধ্যমতো সবাইকে ভালোবাসার চেষ্টা করেছি।

সেই সঞ্চয়ের সাহসেই এবার মহাসচিব পদে নির্বাচন করছি। আমার যারা সিনিয়র ও জুনিয়র সবার পরামর্শ ও শুভেচ্ছা নিয়েই নির্বাচন করছি এবার। সভাপতি হিসেবে মাথার উপর আছে দেশের ইতিহাস সৃষ্টি করা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান ভাই। আশা করছি ভালো ফলাফল আসবে।’

নির্বাচনে জয়ী হলে চলচ্চিত্র পরিচালক ও সমিতির জন্য বিশেষ কোনোকিছু করার পরিকল্পনা কি রয়েছে? জবাবে শাহীন বলেন, ‘দেখুন কিছু করতে চাইলে তার জন্য শর্ত লাগে না। অনেকদিন ধরেই আমাদের এখানে চলচ্চিত্র নির্মাণ কমে গেছে। প্রযোজকের অভাবে সিনেমা হচ্ছে না। পরিচালকরা বেকার ছিলেন। আমি শাপলা মিডিয়ার প্রযোজক সেলিম খান ভাইকে বুঝিয়েছি ইন্ডাস্ট্রির পাশে বড় পরিসরে কীভাবে দাঁড়ানো যায়। সেটা খুব জরুরি।

তাকে সঙ্গে নিয়ে ১০০ সিনেমার ব্যবস্থা করেছি। যেগুলো নির্মাণ করছেন ১০০ জন পরিচালক। কাজের ব্যবস্থা হয়েছে হাজার হাজার শিল্পী ও কলাকুশলীর। অনেকেই বলছেন এটা নির্বাচনী প্রচারণা। মানুষ তার ইচ্ছে মতো অনেক কিছুই ভাবতে পারে। কিন্তু আমি এখন যা, নির্বাচনের পরেও তাই থাকব। আমি কথা দিলে সেটা রাখার চেষ্টা করেছি সবসময়।

Advertisement

তাছাড়া আমাকে যারা চেনেন তারা তো জানেন আমি কেমন। সবসময়ই ভেবেছি সবাই মিলে কি করে ভালো থাকা যায়। সেই ভাবনা থেকেই সেলিম খানকে নিয়ে ১০০ সিনেমার বিরাট কর্মযজ্ঞটি হাতে নিয়েছি। আমি সেলিম খানকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তার মতো কলিজাওয়ালা লোক খুব দরকার এখন সিনেমার জন্য।’

‘নির্বাচনে জেতা না জেতায় কিছু আসে যায় না আমার। যিনি জিতে আসবেন তিনিও আমার ভাই, বন্ধু ও সহযোদ্ধাই। তার সঙ্গেও কাজ করবো। তার সহযোগিতা নেবো। তাকে সহযোগিতা করবো। আমি এমনই চিরকাল। কোনো নোংরা প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচনে আসিনি। আমি মনে করি এই সিনেমা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আজকের শাহীন সুমনে পরিণত করেছে। আমারও অনেক দায় আছে। সিনেমাকে অনেক কিছু দেয়ার আছে। সেজন্যই কাজের সুযোগ চাই’- যোগ করেন শাহীন সুমন।

প্রসঙ্গত, শাপলা মিডিয়ার শতাধিক সিনেমার ঘোষণা ও বাস্তবায়নের মূল কারিগর পরিচালক শাহীন সুমন। যদিও এই নির্মাতা পুরোপুরি কৃতিত্ব দিয়েছেন শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খানকে। শাহীন সুমনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন গুণী নির্মাতা, হলমালিকগণ ও শিল্পীরা।

এই উদ্যোগের ফলে শুধু এফডিসির পরিচালকদেরই বেকারত্ব দূর হয়নি, পাশাপাশি শিল্পী ও অন্যান্য টেকনিশিয়ানরাও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কর্মময় এফডিসি আবার নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে।

এলএ/জেআইএম