আইন-আদালত

বার কাউন্সিলের গত কমিটির দায়িত্ব ছিল যুদ্ধপরাধের বিচার বন্ধ করা

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের গত কমিটির দায়িত্ব ছিল যুদ্ধপরাধের বিচার বন্ধ করে রাজাকারদের রক্ষা করা। মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ সুপ্রিমকোর্ট শাখা কর্তৃৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এদিন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদারসহ কাউন্সিলের বিভিন্ন কমিটির চেয়ারম্যানদের সংবর্ধনার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ সুপ্রিমকোর্ট শাখা। অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, বার কাউন্সিল নির্বাচনে বিজয় গণতন্ত্রের, মুক্তিযুদ্ধের এবং বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত সোনার বাংলা গড়ার চেতনার বিজয়। বার কাউন্সিলের বিজয় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট পাল্টে দিয়েছে। এই নির্বাচন মধ্যবর্তী আপনারা যুদ্ধাপরাধের বিচারের পক্ষে এটা প্রমাণ করেছেন। গত কমিটির দায়িত্ব ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে রাজাকারদের রক্ষার। আইনের শাসন রক্ষায় আমাদের এই বিজয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলহত্যা মামলার বিচারও তিনি একই উদ্দেশ্যে করেছেন বলে মন্ত্রী জানান। আইনমন্ত্রী বলেন, আইনজীবীরা বার কাউন্সিল নির্বাচনে প্রমাণ করেছেন তারা যুদ্ধাপরাধের বিচার সমর্থন করেন। বাসেত মজুমদার আইনজীবীদের সম্মান ও অধিকার ফিরিয়ে আনবেন। এজন্য যা করা দরকার সরকারের পক্ষ থেকে তা করতে আমি পিছপা হবো না। তিনি আরো বলেন, আসুন আমরা বসে ঠিক করি বার কাউন্সিলের বেনাভোলেন্ট ফান্ডে কত টাকা লাগে। ভবিষ্যতে আইনজীবীরা যাতে নিজেদের অসহায় মনে না করেন। আমরা আইনজীবীদের মুখে হাসি ফোটানোর অঙ্গীকার করি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, গত কয়েক বছর দেখেছি বার কাউন্সিলের একটাই কাজ ছিল যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলা। তাদের বিচারের বিরোধিতা করা। এখন বার কাউন্সিল জনগণের পক্ষে, আইনজীবীদের পক্ষে কাজ করবে। অ্যাটর্নি জেনারেল বাসেত মজুমদারকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, আপনি বেয়াদব পোষণ করবেন না। প্রশ্রয় দেবেন না। আপনি সাধারণ আইনজীবদের নেতা। আপনি পরবর্তী নেতা তৈরি করে যাবেন।মাহবুবে আলম বলেন, আপনি যদি মনে করেন যতদিন বেঁচে যাবেন ততদিন নেতৃত্ব থাকবেন তাহলে নেতৃত্ব হারাবেন।অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার বলেন, বার কাউন্সিল গত তিন বছরে একটা রাজনৈতিক প্লাটফরমে পরিণত হয়েছিল। আমি নির্বাচিত হওযায় সাধারণ আইনজীবীরাও খুশি হয়েছেন- যেন তারা নিজেদের অধিকার ফিরে পেয়েছেন। বার কাউন্সিল নির্বাচনে তাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।   আইনজীবী বশির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, লায়েকুজ্জামান মোল্লা, বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল মতিন খসরু, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান জেড আই খান পান্না, ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান শম রেজাউল করিম, লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. নজিবুল্লাহ হিরু, রোল অ্যান্ড পাবলিকেশন কমিটির চেয়ারম্যান মো. ইয়াহিয়া, কমপ্লেইন্ট অ্যান্ড ভিজিলেন্স কমিটির চেয়ারম্যানের মো. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী (বাবুল), ল’রির্ফম কমিটির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মিন্টু, হাউজ কমিটির চেয়ারম্যান পারভেজ আলম খান ও রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান এইচ আর জাহিদ আনোয়ার।এছাড়াও ঢাকা বারের সাবেক সভাতি আবু সাঈদ সাগর, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি আবুল খায়ের, সাবেক সম্পাদক এসএম মনির, বঙ্গবন্ধু মহিলা আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হোসনে আরা বাবলি এমপি, জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি শেখ আখতারুল ইসলাম, জাতীয় আইনজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম ও বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আয়ুবুর রহমান প্রমুখ।এফএইচ/এসএইচএস/পিআর

Advertisement