প্রবাস

কানাডায় মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে কানাডায় অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, কানাডা সংসদের বিশেষ আয়োজন মুক্তিযোদ্ধাদের ভার্চুয়াল মিলনমেলা ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ পর্ব-১ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Advertisement

শনিবার, ২৭ মার্চ কানাডার টরন্টোর স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সুভাষ দাশ এবং পরিচালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মিনারা বেগম। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন হুমায়ুন কবির চৌধুরী, বীর প্রতীক, মুক্তিযোদ্ধা মেজর দিদার আতোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মেজর সুরঞ্জন দাশ, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইয়াকুব, মুক্তিযোদ্ধা শাহেদ বখত ময়নু, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মাসুক মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল মালিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গবেষক তাজুল মোহাম্মদ।

এছাড়াও উত্তর আমেরিকার অনেকে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বের সঞ্চালনায় ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর হায়াত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন সহ-সভাপতি হাসমত আরা চৌধুরী।

আলোচনায় মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালের সেই সব দিনগুলির স্মৃতিচারণ করে বলেন স্বাধীনতার লাল-সবুজ পতাকাকে বিশ্বের দরবারে আমরা এনেছিলাম, এজন্য আমরা গর্বিত।

Advertisement

তারা বলেন, স্বাধীনতার শত্রু মৌলবাদীদের যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করতে হবে। আগাছা দূর করতে হবে, শিক্ষার আলো দিয়ে অন্ধকার দূর করতে হবে। পরবর্তী প্রজন্মকে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে। সংবিধানের চারটি রাষ্ট্রীয় মূলনীতি পুনর্বহাল করে তারই ভিত্তিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। উদীচী কানাডার সাধারণ সম্পাদক মিনারা বেগম বলেন, দেশ এগিয়েছে, দেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হচ্ছে তাতে আমরা আনন্দিত কিন্তু আমাদের ৩০ লাখ শহীদ আর অগণিত মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে প্রাপ্ত স্বাধীন দেশে শোষণ, বঞ্চনা এবং অন্যায়ের অবসান হয়নি।

স্বাধীনতা আমাদের মহান অর্জন। একে সমুন্নত রাখতে আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছর ও সুবর্ণজয়ন্তীতে যারা আমাদের দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল সেই সমস্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা।

তিনি আরও বলেন উদীচী কানাডায় অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধা এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরির জন্য কাজ করছে যাতে করে তারা আমাদের দেশের প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারে এবং দেশের উন্নয়নে নিজেদের দক্ষতা কাজে লাগাতে পারে।

পরিশেষে সংগঠনের সভাপতি সুভাষ দাশ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

Advertisement

এমআরএম/এমকেএইচ