৫৯ রানে ৬ উইকেট। মহা বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে পরাজয় নিশ্চিত। তবে ব্যবধান কমিয়ে সেই পরাজয়কে যতটা সম্মানজনক রূপ দেয়া যায়, ততটাই ভালো। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য ত্রাতা হিসেবে যেন আবির্ভূত হয়েছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তার দারুণ ব্যাটিং বাংলাদেশের রান ১০০ পার করে দেয়।
Advertisement
শেষ পর্যন্ত আফিফের সেই লড়াইও শেষ হয়ে গেলো। ৩৩ বলে ৪৫ রান করে বিদায় নিলেন আফিফ হোসেনও। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার ছিল তার ইনিংসে। লকি ফার্গুসনের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি।
এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ১৭.৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৮। ১৯ রান নিয়ে ব্যাট করছেন সাইফউদ্দিন। তার সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন শরিফুল ইসলাম ৪ রানে।
২১১ রানের বিশাল লক্ষ্য। ব্যাটিং শুরুর আগেই কী ঘাবড়ে গেলো বাংলাদেশ? অসম্ভব কিছু নয়। এতবড় স্কোর দেখলে যে কারো ঘাবড়ে যাবারই কথা। তবে, ঘাবড়ে না গিয়ে সাহসের সাথে লড়াই করতে পারাটাই গৌরবের।
Advertisement
কিন্তু সেই গৌরব হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে দেখাতে পারছে না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। কিউই বোলিংয়ের সামনে নিজেদের নখদন্ত পুরোপুরি বের হয়ে পড়েছে টাইগারদের। ৫৯ রানেই হারিয়ে বসেছে ছয়টি উইকেট।
মূলতঃ কিউই লেগ স্পিনার ইশ সোদির ঘূর্ণিতেই কুপোকাত বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তার ঘূর্ণি বলেই মুরি-মুড়কির মত পড়ছে উইকেট। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাত্র ২ ওভার বল করেই তিনি নিয়েছেন ৪ উইকেট। রান দিয়েছেন কেবল ৮টি।
দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম এবং লিটন দাস শুরুতে কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু বিপর্যয়ের সূচনাটা করেন লিটন দাস। ২০ রানের জুটি গড়ার পর টিম সাউদির বলে ইশ সোদির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি মাত্র ৪ রান করে। বল মোকাবেলা করেছিলেন ৫টি।
এরপর একে একে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। যেন আসা-যাওয়ার তুমুল এক প্রতিযোগিতা। সর্বোচ্চ ২৭ রান করে ফিরে যান মোহাম্মদ নাঈম। তিনি ভেলেন ১৮টি বল। বাউন্ডারি মেরেছেন ৫টি।
Advertisement
সৌম্য সরকার আউট হন ৫ রান করে। মোহাম্মদ মিঠুন আউট হলেন ৬ বলে ৪ রান করে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ দুই অংকের ঘর ছুঁতে পেরেছিলেন। ৯ বলে করেন ১১ রান। কিন্তু সোদির ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি। মেহেদী হাসান আউট হলেন কোনো রান না করেই। সোদির বলে বোল্ড হয়ে।
আইএইচএস/এমএস