বরকতময় পানি জমজম। বরকতময় এ পানিতে শুধু পিপাসাই মেটায় না বরং তাতে ক্ষুধাও নিবারণ হয়। আর এর মাধ্যমে রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়ও রয়েছে। তাছাড়া জমজমের পানিতে রয়েছে মানুষের নানাবিধ উপকার। জমজমের এ পানি মহান আল্লাহর সুমহান কুদরতের এক অনন্য নির্দশন।
Advertisement
জমজমের পানি পান প্রসঙ্গে হাদিসে পাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-‘জমজমের পানি যে নিয়তে পান করবে, তার সেই নিয়ত পূরণ হবে। রোগমুক্তির নিয়তে পান করা হলে আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তিকে আরোগ্য দান করবেন। আবার পিপাসা মেটানোর জন্য পান করলে আল্লাহ তাআলা পিপাসা দূর করে দেবেন। ক্ষুধা দূর করার উদ্দেশ্যে পান করলে আল্লাহ তাআলা ক্ষুধা দূর করে তৃপ্তি দান করবেন। যা জিবরিল (আলাইহিস সালাম)-এর পায়ের গোড়ালির আঘাতে ইসমাইল (আলাইহিস সালাম)-এর পানীয় হিসেবে সৃষ্টি হয়েছে।’ (ইবনে মাজাহ)
জমজমের এ পানি দাঁড়িয়ে কেবলামুখী হয়ে তিন নিঃশ্বাসে পান করা সুন্নাত। বরকতের উদ্দেশ্যে জমজমের পানি পান করার সময় এ দোয়া করাও উত্তম-اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا, وَرِزْقًا وَاسِعًا, وَشِفَاءً مِنْ كُلِّ دَاءٍউচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আস'আলুকা ইলমান নাফি'আ, ওয়ারিজকান ওয়াসিয়া, ওয়াশিফা'আন মিন কুল্লি দায়িন।’অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান, প্রশস্থ রিজিক এবং যাবতীয় রোগ থেকে আরোগ্য কামনা করছি।’ (দারা কুতনী, আব্দুর রাজ্জাক ও হাকেম, বর্ণনায় ইবেনে আব্বাস)
মুমিন মুসলমানের উচিত, রোগমুক্তিসহ সুযোগ থাকলে বরকতের উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে জমজমের পবিত্র পানি পান করা। হাদিসে ঘোষিত উপকারিতা পাওয়ার চেষ্টা করা।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে জমজমের পানি পান করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এএসএম