দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) গত ৫০ বছরে ৫৮টি শিল্পনগরী গড়ে তুলেছে। বর্তমানে সংস্থাটির ৭৬টি শিল্পনগরী রয়েছে। বিসিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
Advertisement
জানা গেছে, সংস্থাটির কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছিল বস্তুত ঋণদান কার্যক্রমের মাধ্যমে। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝিতে এসে বিসিক শিল্পনগরী স্থাপন কার্যক্রম শুরু হয়। যার অংশ হিসেবে তৎকালীন ১৮টি জেলায় প্রতিটিতে একটি করে মোট ১৮টি শিল্পনগরী স্থাপন হয়েছে।
স্বাধীনতার পর দেশে জেলার সংখ্যা বেড়ে ২০টিতে উন্নীত হলে বিসিকের শিল্পনগরীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২০টিতে। আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসন করে শিল্পায়নের ধারা অব্যাহত রেখে বর্তমানের বিসিক শিল্পনগরীর সংখ্যা ৭৬টি।
বিসিক বলছে, বস্তুত দেশে শিল্পের ভিত তৈরি হয় বিসিক শিল্পনগরীর মাধ্যমে। দেশে অনুকরণযোগ্য শিল্পোদ্যোক্তাদের কারখানা, নিট/তৈরি পোশাক শিল্প, হালকা ও মাঝারি প্রকৌশল, রাজশাহী সিল্ক, জুতাসহ বেশকিছু শিল্পের ভিত বিসিকের হাতেই তৈরি।
Advertisement
জানা গেছে, শিল্পনগরীর পাশাপাশি বর্তমানে বিসিকের ৬৪টি জেলায় ৬৪টি শিল্প সহায়ক কেন্দ্র, চারটি আঞ্চলিক কার্যালয়, একটি লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়, একটি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (স্কিটি), ১৫টি দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র, একটি নকশা কেন্দ্র এবং ছয়টি মৌচাষ প্রশিক্ষণ ও বিভাজন কেন্দ্র রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৭ সালে সংসদীয় আইনের অধ্যাদেশ বলে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে এর নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থা বা ইপসিক।
এনএইচ/এমআরআর/এএসএম
Advertisement