দেশজুড়ে

রাজশাহীতে নিহত ১৭ জনের পরিচয় মিলেছে

রাজশাহীর কাটাখালীতে বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাস ও লেগুনার ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১৭ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা সবাই রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। এরমধ্যে ১ নম্বর চৈত্রকোল ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি গ্রামের একই পরিবারের পাঁচজন এবং ১৩ নম্বর রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় মহাজিদপুর গ্রামের একই পরিবারের পাঁচজনসহ ছয়জন, ৮ নম্বর রায়পুর ইউনিয়নের দ্বাড়িকাপাড়া গ্রামের একই পরিবারের তিনজন ও পৌর এলাকার প্রজাপাড়ার একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন-উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি গ্রামের সালাহউদ্দিন (৩৮), তার স্ত্রী সামসুন্নাহার (৩২), শ্যালিকা কামরুন্নাহার (২৫), ছেলে সাজিদ (১০) ও মেয়ে সাবাহ খাতুন (৩), রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় মহাজিদপুর গ্রামের ফুল মিয়া (৪০), তার স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫), ছেলে ফয়সাল (১৫), মেয়ে সুমাইয়া (৭) ও সাবিহা (৩), একই ইউনিয়নের দুরামিঠিপুর গ্রামের সাইদুর রহমান (৪৫), পীরগঞ্জ পৌরসভার প্রজাপাড়ার মোটরসাইকেল মেকার তাজুল ইসলাম ভুট্টো (৪০), স্ত্রী মুক্তা বেগম (৩৫), ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ইয়ামিন (১৪), রায়পুর ইউনিয়নের দ্বাড়িকাপাড়া গ্রামের মোকলেছার রহমান (৪০), স্ত্রী পারভীন বেগম (৩৫) ও ছেলে পাভেল মিয়া (১৮)।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার (২৬ মার্চ) দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজশাহী নগরের কাটাখালী থানার অদূরে বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাস ও লেগুনার ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়। এসময় পাশে থাকা লেগুনাতেও আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তারা মারা যান। পরে মাইক্রোবাস থেকে আরও ১১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রাজশাহীর কাটাখালী থানার সিসিটিভির ভিডিও দৃশ্যে দেখা যায়, পীরগঞ্জের কালো রংয়ের হাইস মাইক্রোবাসটি সড়কের ডানপাশ (ভুল পথে) দিয়ে চলছিল। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ফলে মাইক্রোতে আগুন ধরে যায় এবং দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে।

দুর্ঘটনায় ১৭ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিরোদা রানী রায়।

Advertisement

জিতু কবীর/এসআর/এএসএম