জাতীয়

পৌর নির্বাচনে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, আসন্ন পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয়ভাবে নির্বাচন হলেও সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ ( লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিত করা হবে। সে জন্যই নতুন করে নির্বাচনী আচরণবিধি তৈরি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে মিডিয়া সেন্টারে মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় একথা বলেন তিনি। এসময় নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ, মো. শাহনেওয়াজ, ইসি সচিব মো: সিরাজুল ইসলাম, উপ সচিব শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের নতুন আচরণবিধি করার সময় সময়ের অভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা সম্ভব হয়নি। সকল রাজনৈতিকদল এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে সিইসি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষ। সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে। বিএনপি আগেও যখন অভিযোগ দিয়েছে সাথে সাথে ব্যবস্থা নিয়েছি। এছাড়া গণমাধ্যমেও খবর আসলে ফোনেও খোঁজ নিয়ে আমরা ব্যবস্থা নিই।এসময় পৌরসভার সম্ভাব্য প্রার্থীদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পোস্টার নামিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, সংসদ আইন করেছে বিচার বিবেচনা করেই। আমরা নির্বাচন করেই অভ্যস্ত। তাই মেয়র পদে দলীয়ভাবে এবং কাউন্সিলর পদে নির্দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে অসুবিধা হবে না। তবুও এটা বড় নির্বাচন। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেব। বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে সভা করেই সে বিষয়টি ঠিক করা হবে।অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সময় খুব কম। তাই খুব তাড়াতাড়ি কাজ করতে হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে না পারলে, জুনে নির্বাচন করতে হতো। কেননা, এর মাঝে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আছে। আবার জুনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আছে। তাই ডিসেম্বর ছাড়া নির্বাচন করার কোনো উপায় নেই। এজন্য তাড়াহুড়ো করেই সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমাদের হাতে সকল দলের সাথে আলোচনা করার সময় ছিলো না।তিনি আরো বলেন, সবার জন্যই নির্দেশ হচ্ছে, আইন সম্মতভাবেই কাজ করতে হবে। পৌর নির্বাচনে পূর্বের চাইতে আরো কুইক অ্যাকশন নেব। ব্যালট চুরি, ছিনতাই, এগুলির কোনো রকম তথ্য পেলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নেব। সাংবাদিকদেক বলবো, সবগুলো কেন্দ্রের যাবেন, কাভার করবেন। পুলিশ আপনাদের বাধা দেবে না। কিন্তু আপনাদের কাছে কার্ড (পরিচয়পত্র) থাকতে হবে। তাদের বলে দেব, গতবারের মতো যেন অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে। তবে অনেক ভোটকেন্দ্রেই জায়গা খুব কম। সেখানে একসাথে অনেকেই প্রবেশ ভোটগ্রহণের অসুবিধা হয়। তাই গ্রুপ প্রবেশ করলে সুবিধা হয়। সারাদেশের ৩২৩টি পৌরসভার মধ্যে ২৩৪টি পৌরসভার ভোট গ্রহণ করা হবে ৩০ ডিসেম্বর। নতুন আইন ও আচরণবিধি মেনে এ ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩ ডিসেম্বর, যাচাই-বাছাই হবে ৫ ও ৬ ডিসেম্বর এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৩ ডিসেম্বর।এইচএস/পিআর

Advertisement