যে সময়গুলোতে দোয়া কবুল হয়, সে সময়গুলো খুঁজে তাতে দোয়া করার নির্দেশনা রয়েছে হাদিসে। সে হিসেবে জুমআর দিন এমন একটি সময় আছে যে সময় আল্লাহর কাছে বান্দা যা চাইবে; আল্লাহ তাআলা তা-ই কবুল করে নেবেন। বিশুদ্ধ হাদিসের বর্ণনায় সেই কাঙ্ক্ষিত সময়টি কখন?
Advertisement
‘হ্যাঁ’, জুমআর দিন এমনিতেই দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। আবার এ দিনের বিশেষ একটি সময় আছে যে সময় দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা বান্দার দোয়া কবুল করে নেন।
আল্লাহর কাছে বান্দার চাহিদার শেষ নেই। এসব চাহিদা পূরণে হাদিসে নির্ধারিত সময়ে দোয়া করলে মহান আল্লাহ বান্দার সব চাওয়া পূরণ করে দেবেন। হাদিসের বিশুদ্ধ বর্ণনায় সে সময়টির কথা এভাবে ওঠে এসেছে-ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তার মুসনাদে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয়ই জুমআর দিন এমন একটি সময় আছে, যে সময়টিতে বান্দা দাঁড়িয়ে থেকে আল্লাহ তাআলার কাছে কল্যাণকর যা-ই প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাআলা ওই বান্দাকে কল্যাণের সব কিছুই দিয়ে দেন।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, এটি হলো আসরের পরের সময়। অর্থাৎ আসর থেকে মাগরিব তথা সূর্য ডোবা পর্যন্ত সময়।’ (মুসনাদে আহমাদ)
সুতরাং হাদিসের বিশুদ্ধ বর্ণনায় এটি সুস্পষ্ট যে, আসর থেকে সূর্য ডোবা পর্যন্ত সময়ে আল্লাহর কাছে যে দোয়া-ই করা হয়, আল্লাহ তাআলা তা কবুল করে নেন।
Advertisement
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, জুমআর দিন দোয়া কবুলের মুহূর্তটি খুঁজে খুঁজে নিজেদের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণে দোয়া করা। আল্লাহর কাছে রোনাজারি করে নিজেদের চাহিদার জন্য প্রার্থনা করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমআর দিনের দোয়া কবুলের মুহূর্ত আসর থেকে সূর্য ডোবা পর্যন্ত সময়ে বেশি বেশি দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস
Advertisement