ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনে প্রতিবাদে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ বেঁধেছে। এতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বায়তুল মোকাররম এলাকা।
Advertisement
শুক্রবার জুমার নামাজের পরপরই বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ব্যাপক সংঘর্ষ হচ্ছে দক্ষিণ গেটেও।
ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা বাইরে থেকে মসজিদের ভেতরে ইট-পাথর ছুড়ছেন। অন্যদিকে বিক্ষিপ্তভাবে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ। এতে গণমাধ্যমকর্মীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
হেফাজতকর্মীরা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর‘ বলে স্লোগান দেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ‘জয় বাংলা‘ বলে স্লোগান দেন।
Advertisement
দেখা গেছে, মোদিবিরোধী মিছিলে উত্তাল বায়তুল মোকাররম এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। লাঠিসোটা অবস্থান নিয়েছেন যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। মোদিবিরোধীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুরু থেকেই নরেন্দ্র মোদির সফর নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে হেফাজত। মোদির আগমন ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীর মতিঝিলে বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ। এতে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাঁধে। সমাবেশ থেকে ‘শিশুবক্তা’ মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ইএআর/জেএ/বিএ/এমকেএইচ
Advertisement