ধর্ম

জুমআর নামাজ পড়লে যেসব মর্যাদা পাওয়া যাবে

সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ মর্যাদার দিন জুমআ। কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা জুমআর দিনকে আলোকময় করে উঠাবেন। যারা জুমআর নামাজ আদায় করবে তারাও জুমআর দিনটিকে ঘিরে উপস্থিত হবেন। সেদিন জুমআ আদায়কারীদের জন্য থাকবে বিশেষ মর্যাদা। কী সেসব মর্যাদা?

Advertisement

‘হ্যাঁ’, জুমআর দিন যারা যথাযথভাবে নামাজ পড়বে, জুমআর দিন তাদের জন্য বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদা বহন করবে। সেদিন তাদের সঙ্গে মুয়াজ্জিন ছাড়া আর কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। হাদিসে এসেছে-হজরত আবু মুসা আল-আশআরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন সপ্তাহের সব দিনকে নিজ আকৃতিতে একত্রিত করে পুনরুত্থান করবেন। সেদিন জুমআর দিনকে উজ্জ্বল আলোকময় করে উঠানো হবে। আর জুমআর নামাজ আদায়কারীরা জুমআর দিনটিকে নববধূর মতো ঘিরে রাখবে। যেন তা (দিনটিকে) তাদের রবকে হাদিয়া দেয়া হয়। (জুমআর দিন থেকে মুসল্লিরা যা অসাধারণ সব উপকারিতা ও মর্যাদা। তাহলো)-- সে (জুমআর দিন) তাদেরকে (জুমআ পড়া ব্যক্তিদের) আলো দান করবে।- তারা (মুসল্লিরা) তার আলোতে চলবে। - এতে তাদের রং হবে বরফের মতো সাদা।- তাদের ঘ্রাণ মিশকের ঘ্রাণের মতো ছড়িয়ে পড়বে।- তারা কর্পুরের পাহাড়ে আরোহন করবে।- জ্বিন এবং মানুষেরা তাদের দিকে আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে থাকবে; যতক্ষণ না তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে।তবে যে মুয়াজ্জিন সাওয়াবের আশায় আজান দিয়েছে তারা ছাড়া অন্য কেউ তাদের (জুমআ আদায়কারী মুসল্লির) সঙ্গে মিলিত হতে পারবে না।’ (ইবনু খাজায়মা, মুসতাদরেকে হাকেম)

সুতরং মুমিন মুসলমানের উচিত, যথাযথভাবে জুমআর নামাজ আদায় করা। জুমআর দিনের আমলগুলো যথাযথভাবে পালন করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমআর দিনটি নামাজ ও আমলে অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুন। জুমআর দিনের কাঙিক্ষত ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Advertisement

এমএমএস/এমএস