জাতীয়

দুই উদযাপনে যোগ দিতে ঢাকায় নরেন্দ্র মোদি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০টা ৩২ মিনিটে মোদির নেতৃত্বে আসা ৭১ থেকে ৭২ সদস্যের ভারতের প্রতিনিধি দলটি বহনকারী বিশেষ বিমানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

Advertisement

১০টা ৫৮ মিনিটে বিমান থেকে নামেন সাদা পাঞ্জাবির ওপর কালো স্ট্রাইপের মুজিব কোট পরা মোদি। এর আগেই বিমান থেকে নেমে যান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধণ শ্রিংলাসহ প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা। প্রথম মাস্ক পরা না থাকলেও বিমানের সিঁড়ির শেষ ধাপে এসে মাস্ক পরে নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর শেখ হাসিনা মোদিকে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন। মোদিকে লালগালিচা সংবর্ধনা এবং গার্ড অব অনার দেয়া হয়।

এ সময় বিমানবন্দরে মন্ত্রিসভার সদস্যসহ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেলা ১১টা ৯ মিনিটে বিমানবন্দর ছাড়েন নরেন্দ্র মোদি।

Advertisement

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৭ থেকে ২৬ মার্চ ১০ দিনের অনুষ্ঠানে এর আগে বিদেশি নেতারা অংশ নিয়েছেন। শেষ দিন (২৬ মার্চ) অংশ নিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দুই উদযাপনে অংশ নিতে এলেও মোদির এই সফরে স্থান পাবে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী দেশ, প্রতিবেশী, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের কারণে দুই দেশের সম্পর্ক সুগভীর। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ দেশটির সরকার প্রধানের সফর উপলক্ষে নিরাপত্তার কঠোরতাসহ আয়োজনের কোনো ত্রুটি রাখেনি বাংলাদেশ।

শুক্রবার এসেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরশহীদদের শ্রদ্ধা জানাবেন। ধানমন্ডি-৩২ এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধা জানাবেন এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর পরিদর্শন করবেন। বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন মোদি।

শনিবার (২৭ মার্চ) সকালে নরেন্দ্র মোদি সাতক্ষীরার সুন্দরবনের কোলঘেঁষে গড়ে ওঠা ঈশ্বরীপুর যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে পূজা দিতে যাবেন। যশোরেশ্বরী মন্দিরে পূজা দেয়ার পর সকাল ১০টার দিকে তিনি মন্দির ত্যাগ করবেন। এরপর তিনি হেলিকপ্টারযোগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হবেন।

Advertisement

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি ও কাশিয়ানী উপজেলার মতুয়া সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান শ্রীধাম ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করবেন।

এছাড়া বাংলাদেশ সফরে তিনি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এ সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে অনেকগুলো চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরমধ্যে বিনিয়োগ, বাণিজ্য এবং পারস্পরিক সহযোগিতা অন্যতম। এছাড়া তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারত দ্রুত একটি সিদ্ধান্তে আসবে বলেও জানা গেছে। শনিবার রাতে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন নরেন্দ্র মোদি।

আরএমএম/বিএ/এমএস