ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে রাজধানীতে যুব অধিকার পরিষদ ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় চার পুলিশ সদস্য রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
Advertisement
এছাড়াও মিছিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশের ওপর হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে, চিকিৎসার জন্য ঢামেকে নিয়ে যাওয়া হলে পুলিশকে মারধর করে সেখান থেকে এক বিক্ষোভকারীকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর পল্টন থানার বিজয়নগর পানির ট্যাংকি থেকে মিছিল শুরু করে মুক্তাঙ্গনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়।
প্রথমে মিছিলটি মতিঝিলের শাপলা চত্বরের দিকে যায়।
Advertisement
সেখানে পুলিশের সঙ্গে যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে করেছে বিক্ষোভ মিছিলটি পরিচালিত হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে রাজারবাগ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন- পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক, মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার (এসি-পেট্রোল), মতিঝিল থানার একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও একজন কনস্টেবল।
বাকি ৩ পুলিশ সদস্যের আঘাত তেমন গুরুতর নয়। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা হলেন- খিলগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি), মতিঝিল জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ও এক কনস্টেবল।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী নামে এক ইসলামিক বক্তাকে আটক করেছে পুলিশ।
Advertisement
এ বিষয়ে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মতিঝিল ও পল্টনের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুলিশের অন্তত সাত সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চার জন গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। বাকি তিন জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
ডিসি মতিঝিল আরও বলেন, আটকদের নাম-পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী অনেকেই পালিয়েছে তাদেরকে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আইনের আওতায় আনা হবে।
টিটি/এসএস/জিকেএস