অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আসছে সাংবাদিক-সাহিত্যিক মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদের নতুন উপন্যাস ‘সাধের জনম’। আগামী ২৬ মার্চ থেকে বইটি পাওয়া যাবে মেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৬৮৬ নম্বর স্টলে (ডিআরইউ)। নজর প্রকাশ বইটি প্রকাশ করছে। লেখকের নতুন এ উপন্যাসের প্রচ্ছদ করেছেন রজত। মূল্য রাখা হয়েছে ২০০ টাকা।
Advertisement
নতুন বই প্রসঙ্গে লেখক মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ বলেন, আমি বছরে বই লিখি এক বা দুটি। মূলত কোয়ালিটি বা মান ধরে রাখার জন্যই এতো কম লেখা। কারণ একটি লেখা মানে একটি দলিল। এটি যুগ যুগ থাকবে। তাই মান ধরে রাখতে চেষ্টা করি। অনেক লেখক আছেন যারা বছরে ১০/১২ বা তারও বেশি বই লিখে থাকেন। আমি পারি না। বলছি না যে, তাদের বইয়ের মান তেমন ভালো নয়। তারা হয়তো মান ধরে রেখেই লেখেন; কিন্তু নানা ব্যস্ততার কারণে আমি পারি না। এটি আমার এক ধরনের অক্ষমতাই বলতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘সাধের জনম’ এক জীবনবোধের উপন্যাস। সব বয়সের পাঠকই বইটি পড়ে আত্মতুষ্টি পেতে পারেন। ‘সাধের জনম’ নামে আরও একটি উপন্যাস লিখছিলাম। সে উপন্যাসের লেখা অনেকটা এগিয়েও গেছে; কিন্তু কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। উপন্যাসের কাহিনীর সঙ্গে নামের মিল কম। হঠাৎ করেই একদিন সিদ্ধান্ত নিলাম এ লেখাটি বাদে একই নামে নতুন করে অন্য একটি লেখা শুরু করব। পরেই তাই করেছি।
নাহিদ বলেন, ‘সাধের জনম’ দীর্ঘ কলেবরে হতে পারত। অনায়াসেই ৫০০ পৃষ্ঠা লিখতে পারতাম; কিন্তু অনর্থক গল্প টেনে লম্বা করা আমার স্বভাব নয়। চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব মেদহীন লেখা লিখতে। এতে আমার উপন্যাসের ফিটনেস ঠিক থাকবে, পাঠকও বিরক্ত হবেন না। পাঠকের কাছে প্রথমে গল্পটি চেনা মনে হতে পারে; কিন্তু কাহিনীটি আসলেই খুব অচেনা। কাহিনীর পুরোটা জুড়ে থাকবে রূপালি- এমনটি ভেবে শুরু করেছিলাম। পরবর্তী সময়ে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে ওঠে সীমান্ত। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র সীমান্ত ও রূপালির বাবা আজগর চেয়ারম্যান। এ চরিত্রটি লিখতে গিয়ে মনে হয়েছে উপন্যাসের পটভূমি কি পরিবর্তন হয়ে গেল!
Advertisement
‘এ উপন্যাসটি সম্পর্কে আরও একটি কথা বলা উচিত বলে মনে করছি। আমি সব লেখা অনেক সময় নিয়ে লিখি; কিন্তু এ কাহিনী লেখার সময় কোনো বিরতি দিতে পারিনি। কারণ কাহিনীটি আমাকে থামতে দেয়নি। যদি বলি এক নিঃশ্বাসের লেখা- সেটা সম্ভবত ভুল হবে না। আশা করছি- পাঠকও এক নিঃশ্বাসে উপন্যাসটি শেষ করতে পারবেন।’
এইচএস/এএএইচ/জিকেএস