দেশজুড়ে

মিটারে না থাকলেও বিদ্যুৎ বিল ৩৪ হাজার টাকা!

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পূর্ব পাইকপাড়ায় পারুল দেবনাথ নামে এক গ্রাহককে তিনটি লাইট, একটি পাখা, টিভি ও ফ্রিজের এক মাসের বিদ্যুৎ বিল ৩৪ হাজার ৩৮৭ টাকা দেয়া হয়েছে। এই বিল পরিশোধ নিয়ে বিপাকে পড়ছেন তিনি।পারুল দেবনাথ বলেন, শহরের পূর্বপাইকপাড়ার গণসাহা বাড়ি রোডের একটি ভাড়া বাসায় একাই থাকেন তিনি। শুধু একটি টিভি, ফ্রিজ, পাখা ও তিনটি লাইটের জন্য প্রতি মাসেই ব্যবহারের চেয়ে অতিরিক্ত ইউনিটের বিদ্যুৎ বিল পিরশোধ করতে হচ্ছে তাকে। এ নিয়ে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের অফিসে একাধিকবার অভিযোগও করেছেন তিনি। কিন্তু তাতেও কোনো প্রতিকার পাননি। সর্বশেষ অক্টোবর মাসের বিদ্যুৎ বিল ৩৪ হাজার ৩৮৭ টাকা দেয়া হয়েছে তাকে।তিনি আরও বলেন, বৈদ্যুতিক মিটারে তার বর্তমান মিটার রিডিং ৫৮৩৩.২। কিন্তু বিদ্যুৎ অফিস থেকে সরবরাহকৃত বিলে রিডিং দেখানো হয়েছে ৮৯৮০। এদিকে পারুল দেবনাথের এই ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল নিয়ে পূর্বপাইকপাড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।শুধু পারুল দেবনাথই নন শহরের অসংখ্য বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রতি মাসেই ব্যবহারের চেয়ে অতিরিক্ত ইউনিটের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে তাদের। বিল পরিশোধ করতে গিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। তাদের অভিযোগ, মিটার রিডাররা গ্রাহকদের মিটার না দেখেইে অফিসে বসে অনুমান নির্ভর ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল তৈরি করেন। এর ফলে অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ নিয়ে প্রতি মাসেই গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের অফিসে ধরনা দিচ্ছেন। তবে ‘ভুতুড়ে’ এই বিল নিয়ে খোদ বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগই পড়েছেন বিপাকে। কি কারণে গ্রাহকদের অতিরিক্ত বিল দেয়া হয় তা নিয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ।এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হান্নান বলেন, পারুল দেবনাথের বিলে কি সমস্যা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে গ্রাহকদের জন্য প্রিপেইড মিটারিং সুবিধা চালু হলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের আর কোনো অভিযোগ থাকবে না বলে জানান তিনি।আজিজুল আলম সঞ্চয়/এসএস/এমএস

Advertisement