দেশজুড়ে

খুলনায় আবারও ছড়াচ্ছে করোনা, একদিনে দুই মৃত্যু

খুলনায় আবারও ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। গত দু’দিনে ৪০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রেডজোনে। ৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন আইসিইউতে। একদিনে মারা গেছেন দুইজন। এখনই সমন্বিত পদক্ষেপ না নিলে অবস্থার তীব্রতা গত বছরকেও হার মানাতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।

Advertisement

এছাড়া মেডিকেল ভিসায় বিদেশগামীদের জন্য আলাদা করোনা পরীক্ষা ল্যাব না থাকায় সাধারণ মানুষের পরীক্ষা দারুণভাবে বিলম্বিত হচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রেডজোনে গত দু‘দিনে ৪০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু মঙ্গলবারই ভর্তি হয়েছেন ২০ জন।

বুধবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) করোনা আক্রান্ত দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

মৃতরা হলেন, ঝিনাইদহ সদরের আরাপপুর এলাকার বাসিন্দা মৃত সিরাজুল হকের ছেলে আবুল হাশেম (৪৫)। গত ২২ মার্চ করোনা আক্রান্ত হয়ে খুমেকের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। এছাড়া বাগেরহাটের রামপালের মৃত আবুবক্করের সাহিদা বেগম (৬৫) আজ বেলা সাড়ে ১১টার সময় মৃত্যুবরণ করেন। গত ২৪ মার্চ থেকে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি ছিলেন।

জানা যায়, খুলনায় করোনা শনাক্তের এক বছরের মাথায় আবারও ছড়াচ্ছে করোনা। গত বছর সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে করোনা মোকাবিলা করা গেলেও এবার সেখানেও ঘাটতি রয়েছে।

এমতাবস্থায় ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের পাশাপাশি খুলনা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা পর্যায়ে গতবার (২০২০) যে আইসোলেশন সেন্টার চালু করা হয়েছিল এখনই তা আবার কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।

এদিকে জেলায় করোনা পরীক্ষার একমাত্র কেন্দ্র খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটিপিসিআর ল্যাবে খুলনাসহ আশপাশের জেলারও করোনা পরীক্ষা করা হয়।

Advertisement

খুমেক সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার খুলনায় করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫৮১ জনের। এর মধ্যে পরীক্ষা হয়েছে মাত্র ২৮২ জনের, যাদের অর্ধেকের বেশি বিদেশগামী। ফলে সাধারণ অনেক রোগীকে ফিরে যেতে হয়েছে পরীক্ষা না করেই। বিদেশগামীদের জন্য আলাদা ল্যাব না বসালে সাধারণ রোগীরা বঞ্চিত হবেন বলে মনে করছেন ল্যাব সংশ্লিষ্টরা।

খুমেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এসএম তুষার আলম বলেন, প্রতিদিন বিদেশগামীদের নমুনা আসছে ২৫০ এর বেশি। খুব শিগগিরই করোনা মোকাবিলায় আবারও সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. এটিএমএম মোর্শেদ বলেন, খুলনায় তিনটি বড় বড় সরকারি হাসপাতাল থাকলেও করোনা রোগীদের সম্পূর্ণ চিকিৎসা দেয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও এখনই আইসোলেশন সেন্টার চালু করা উচিত।

আলমগীর হান্নান/এফএ/জিকেএস