কক্সবাজার, কুয়াকাটা, বান্দরবানসহ পর্যটনস্থলে ঘুরতে গিয়ে এবং বিয়ে, পিকনিক, ওয়াজ মাহফিলসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জনসমাগমের কারণে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
Advertisement
বুধবার (২৪ মার্চ) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এমবিবিএস পরীক্ষা নিয়ে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকালও সাড়ে তিন হাজার মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। কেন করোনা বাড়ছে সেটি খেয়াল করতে হবে। করোনা বাড়ার উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। কিভাবে আক্রান্ত হয়েছে সেটি জানার চেষ্টা করেছি। তারা বলছে, কেউ কক্সবাজার, কেউ কুয়াকাটা, বান্দরবান বা পিকনিকে গিয়েছিলেন। তাই সেই জায়গায়গুলো সীমিত করতে হবে। বিয়ে-ওয়াজ মাহফিলে জনসংখ্যা সীমিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এসব নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। ডিসিদের কাছেও চিঠি দিয়েছি। তারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে, প্রয়োজনে মানুষকে ফাইনও (জরিমানা) করবে। ঢাকার মেডিকেলগুলো করোনা রোগীতে ভরে গেছে, ঢাকার বাইরে অনেকটা ফাঁকা। কিছু নন-কোভিড হাসপাতাল করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের আওতায় নিয়ে এসেছি।’
Advertisement
‘লালকুঠির হাসপাতাল, মহানগর হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালসহ কুর্মিটোলা হাসপাতালে বেড বাড়ানোর জন্য বলেছি। টঙ্গি, গাজীপুর, টাঙ্গাইলেও ব্যবস্থা নিয়েছি। এগুলো করতে পারলে তিন হাজার নতুন বেড সৃষ্টি করতে পারব। এর মধ্যে ১৭০০ থেকে ১৮০০ নন-কোভিড বেড ছিল, সেসব বেড থেকে রোগী সরিয়ে নিতে হয়েছে। সেখানে করোনা রোগী ভর্তি করতে হয়েছে।’
দ্রুত করোনা রোগী কমানোর প্রয়োজন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের করোনা রোগী কমাতে হবে। যে হারে সংক্রমিত হচ্ছে, এভাবে হলে অতিরিক্ত ব্যবস্থায়ও কুলাবে না। দেশ ও অর্থনীতি ঠিক রাখতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, বেশি ঘুরাঘুরি কমাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘করোনা টিকার কার্যক্রম চলমান আছে। টিকা নিয়ে মানুষের বিভ্রান্ত ছিল, তারা ভাবত টিকা নিলে করোনা প্রতিরোধ করবে। কিন্তু তা নয়, টিকা নিলে করোনা থেকে রক্ষা নাও হতে পারে। কিন্তু এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে, মৃত্যু ঝুঁকি কমাবে। তাছাড়া দ্বিতীয় ডোজ আমরা এখনো দেইনি।’
আইএইচআর/এআরএ/জিকেএস
Advertisement