নীলফামারীর ডিমলায় সোমবার রাতে সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামের গৃহবধূ আরতি রানীর (১৮) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার সকালে জেলার মর্গে পাঠায়।চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ডিমলা সদর ইউনিয়নের কুমারপাড়া গ্রামের মৃত মতিলাল চন্দ্র রায়ের মেয়ে আরতী রানীর সঙ্গে একই ইউনিয়নের দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামের কলেজ পাড়ার মৃত মন্টু চন্দ্র রায়ের ছেলে কালীপদ রায়ের (২০) বিয়ে হয়। বিয়ের সাত মাসের মাথায় গৃহবধূ আরতী রানী সোমবার রাতে শোয়ার ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এলাকাবাসী জানান, বিয়ের পর থেকে আরতীর সঙ্গে স্বামী কালীপদ রায়ের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সোমবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। সেই সূত্রে ও মনের ক্ষোভে আরতী রানী আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। অপরদিকে, মেয়েটির পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, প্রতিনিয়ত আরতীকে নির্যাতন করতেন তার স্বামী। সোমবার সন্ধ্যায় আরতীকে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। রাতে ডিমলা থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল লতিফ জাগো নিউজকে জানান, মৃতর শরীরে সুরতহালের সময় আঘাতের কোনো চিহ্ন না পাওয়ায় সঠিকভাবে মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না। তবে ময়নাতদন্তের রিপাের্ট আসলেই মৃত্যুর সঠিক রহস্য বেরিয়ে আসবে।জাহেদুল ইসলাম/এমজেড/এমএস
Advertisement