দেশজুড়ে

স্ত্রীর অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি, যুবলীগ নেতার নামে মামলা

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় স্ত্রীর অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে উপজেলা যুবলীগের সদস্য ফরিদ আহম্মেদ জয়ের (২৮) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ময়মনসিংহের ৬ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক দেওয়ান মনিরুজ্জামানের আদালতে ভিকটিম বাদী মামলাটি দায়ের করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী শাজাহান কবীর সাজু মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিম বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সাত কার্যদিবসের মধ্যে এফআইআর করার নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেলার ত্রিশালের এক যুবতীর সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় যুবলীগ নেতা ফরিদ আহম্মেদ জয়ের। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ওই যুবতীকে বিয়ে করেন। পরদিন কক্সবাজার গিয়ে তিন দিন হোটেলে রাত্রিযাপন করে গোপনে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করেন।

Advertisement

ওই অশ্লীল ভিডিও ভিকটিমের মোবাইলে পাঠিয়ে টাকা দাবি করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে ভিডিও ডিলিট করে দেবার শর্তে তাকে ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়। কিন্তু ফরিদ ভিডিও ডিলিট না করে হুমকি দিতে থাকলে র্যাবকে বিষয়টি জানানো হয়।

পরে ফরিদ আহম্মেদ জয় ভুল স্বীকার করে গত ৪ মার্চ (বৃহস্পতিবার) নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ফের বিয়ে করে। পরে ভিকটিমকে তারাকান্দা উপজেলার কাশিগঞ্জ বাজারে এক বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে দুই দিন আটকে রেখে ফরিদ ও তার তিনবন্ধু মিলে গণধর্ষণ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। এ ঘটনায় গত ১৫ মার্চ (সোমবার) তারাকান্দা থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ভিকটিমকে আটকে রেখে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয়।

তবে এসব বিষয়ে জানতে যুবলীগ নেতা ফরিদ আহম্মেদ জয়ের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি।

এ বিষয়ে তারাকান্দা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আবদুল মান্নান বলেন, ‘ফরিদ আহম্মেদ জয় উপজেলা যুবলীগের সদস্য। তবে তার বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো ঘটনা জানা নেই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Advertisement

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়। তবে ফরিদের বিরুদ্ধে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে ওই নারী থানায় এসেছিল। পরে জানতে পারি ফরিদ তাকে বিয়ে করেছে। এখন আদালতের কাগজ হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মঞ্জুরুল ইসলাম/আরএইচ/এএসএম