দেশের মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র আলোকিত করা জনপ্রিয় ও নন্দিত অভিনেত্রী তিনি। প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি শিল্পের চর্চা করে চলেছেন স্বমহিমায়। একজন নাট্যকার ও নাট্য নির্মাতা হিসেবেও প্রশংসিত হয়েছেন।
Advertisement
তবে আজকাল নিজেকে একজন চিত্রশিল্পী হিসেবেও পরিচিত করতে আনন্দবোধ করেন। আর নিপুণ হাতে সামলে চলেছেন সংসার, সন্তানও।
বলছি বিপাশা হায়াতের কথা। আজ এই গুণী তারকার জন্মদিন। এবারে তিনি ৫০ বছরে পা রাখলেন। এদিনে পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-স্বজনদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি। সোশাল মিডিয়ায় তার ভক্তরাও শুভেচ্ছা জানতে ভুলছেন না।
বিপাশার জন্ম মুক্তিযুদ্ধের বছর, সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু হওয়ার তিন দিন আগে; ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ। তার বাবা বরেণ্য অভিনেতা আবুল হায়াত। মা মাহফুজা খাতুন শিরিন গৃহিণী। বিপাশার বোন নাতাশা হায়াতও অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন। আর এই শিল্পী বিয়ে করেছেন আরেক গুণী শিল্পী তৌকীর আহমেদকে। তাদের সুখের দাম্পত্য জীবন আলোয় রঙিন করে রেখেছে দুই সন্তান।
Advertisement
নব্বই দশকে বিপাশা হায়াতের উত্থান টিভি নাটকের মধ্য দিয়ে। ক্যারিয়ারে নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করে অনেক চরিত্রকেই তিনি জীবন্ত করে তুলেছেন। তার অর্জনের ঝুলিতে আছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। হুমায়ূন আহমেদের ‘আগুনের পরশমনি’তে অভিনয় করে এই পুরস্কার জয় করে নেন তিনি।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘জয়যাত্রা’ ছবিতেও আজিুজল হাকিমের বিপরীতে অনবদ্য অভিনয় করেন তিনি। এটি পরিচালনা করেছিলেন বিপাশার স্বামী তৌকীর আহমেদ।
তবে সময়ের সাথে সাথে অভিনয় থেকে দূরে সরে গেছেন বিপাশা। গেল কয়েক বছর ধরেই তাকে বেশি ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে নাট্য রচনা ও পরিচালনায়। আর সাম্প্রতিক সময়টাতে বিপাশা সংসার সামলানোর ফাঁকে তিনি চমৎকার এক সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন আঁকাআঁকির সাথে। যে চারুকলার ছাত্রী একদিন নামকরা অভিনেত্রী হবেন বলে থিয়েটারে নেমেছিলেন সেই বিপাশাই আবার ফিরে এসেছেন রঙের ভুবনে। নিয়মিতই ক্যানভাসে আঁকছেন জীবন ও হৃদয়ের নানা বোধ-অনুভূতি।
বিপাশা হায়াত সর্বশেষ দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প পরিবার প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান প্রাণ ডেইরীর ‘প্রাণ পাউডার মিল্ক’ এর বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে কাজ করেছেন।
Advertisement
এলএ/জেআইএম