চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। সর্বশেষ গত একদিনে ২৭২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চট্টগ্রামের সাতটি ল্যাবে ১ হাজার ৯৪৮টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২৭২ জন। তাদের মধ্যে নগরের ২৩৪ জন ও ৩৮ জন বিভিন্ন উপজেলার।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, নগর ও জেলা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ২৩ জনে। এছাড়া জেলায় করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৩৮৩।
তিনি আরও বলেন, অসচেতনতার কারণে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। করোনা রোগীদের সুচিকিৎসায় আন্দরকিল্লা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল-২, হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ২৫০টি শয্যা প্রস্তুত রয়েছে। নির্দিষ্ট বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে ৬০-৭০টি আইসিইউ বেড রাখা হয়েছে। মুমূর্ষু রোগীদের জন্য চমেক হাসপাতালে ৮০টি, জেনারেল হাসপাতালে ৩০টি, বিআইটিআইডিতে ১০টি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ১০০টি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে এগুলো ব্যবহার করা হবে।
Advertisement
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, করোনা সংক্রমণ কমাতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক আজও মাঠে থাকবেন কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তারা নগরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। গণপরিবহনে যাত্রীদের মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে নগরীর তিন প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসানো হচ্ছে। যাদের মাস্ক থাকবে না তাদের বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হবে।
এছাড়া সচেতনতা বাড়াতে মাইকিংয়ের পাশাপাশি নগরের স্টেডিয়াম, সিআরবি, বাদামতলী মোড়, বিনোদন কেন্দ্র, পার্ক ও সি-বিচসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিএনসিসি, স্কাউট, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড, রেড ক্রিসেন্ট ও এনজিও প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।
আবু আজাদ/এমএসএইচ/জেআইএম
Advertisement