মতামত

একমাত্র ছেলেকেও মুক্তিযুদ্ধে পাঠান ফাতেমা

একাত্তরে বাবা হাফিজুল আলম পেশায় ইঞ্জিনিয়ার মধ্য পঞ্চাশের প্রৌঢ় ভদ্রলোক। তাঁর স্ত্রী ফাতেমা আলম। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির সময় তিনি পশ্চিম বাংলার খড়গপুর পিডব্লিউডি থেকে ঢাকায় চলে আসেন। স্থায়ী ঠিকানা হয় ১/৩ দিলু রোড, নিউ ইস্কাটনে। যুদ্ধের শুরুর দিকে জনাব হাফিজলু আলম তার স্ত্রী ও ছয় সন্তান নিয়ে দিলু রোডের বাড়িতে বসবাস করেন। ১৯৬০ সালে জনাব হাফিজুল আলমের বড় ছেলে মারা যায়। তাঁর চার মেয়ের মধ্যে বিবাহিত নাজমা আকবর ছিলেন বাড়ির বড় মেয়ে। পরিবারসহ তিনি খুলনায় বসবাস করতেন। দ্বিতীয় মেয়ে আসমা সবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে মাস্টার্স ডিগ্রি শেষ করেছেন। একমাত্র পুত্র হাবিবুল আলমের ছোট দুই মেয়ে রেশমা ও শাহনাজ। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল আলম পেয়েছেন বীর প্রতীক খেতাব। বীর প্রতীক হাবিবুল আলম ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তাঁর দুই কন্যাসন্তান আসমা এবং রেশমা।

Advertisement

১৯৭১ সালে তাঁদের দিলু রোডের বাড়িটি ইতিহাসের অংশ হয়ে যায়। তাঁর একমাত্র পুত্রসন্তান যুদ্ধে যোগ দিলে বাবা হাফিজুল আলম পরিবারের জন্য শক্ত খুঁটি হয়ে দাঁড়ান। যখন তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর বাসায় অস্ত্র রাখতে পারবে কি না, তখন তিনি সানন্দে রাজি হন। অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক রাখার জন্য নিজের উদ্যোগে তিনি বাড়ির রান্নাঘরের সাথে মাটির নিচে একটি জায়গা তৈরি করে দেন। ভূগর্ভস্থ এই অস্ত্র গুদামের ঢাকনাটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল যে চুলাটি না সরিয়ে কেউ সেখানে ঢুকতে পারতো না। রান্নাঘরটি বেশ বড় ছিল—১০ ফুট বাই ১৫ ফুট। মুক্তি বাহিনীর অস্ত্র রাখার জন্য ঢাকা শহরের এটাই ছিল প্রথম ভূগর্ভস্থ স্টোর। তিনি দুই ফুট বাই দুই ফুট মাপের একটি চতুষ্কোণ গর্ত খোঁড়েন, যাতে এর ভেতরে সহজে প্রবেশ করা যায়। একটি চতুষ্কোণ স্লাব দিয়ে গর্তটি ঢাকা হয়। অস্ত্র ভান্ডারটি লুকিয়ে রাখার জন্য এই স্লাবের উপরে মাটির চুলা বসানো হয়।

যুদ্ধ যতই এগিয়ে চলে সামনের দিকে ততই এ আশ্ের য় মুক্তিযোদ্ধাদের যাতায়াত বাড়তে থাকে। এদের কেউ কেউ এই বাসায় রাতেও থাকতেন। আলী আহমেদ, জিয়াউদ্দীন, শাহাদাত চৌধুরী, আনোয়ার রহমান শহীদ, স্বপন, কাজী, চুল্লু শহীদ জুয়েল প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকায় গেরিলা অপারেশনের সময় প্রায় নিয়মিতই থাকতেন। এভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংস্পর্শ এবং বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক রাখার মধ্য দিয়ে মা ফাতেমা আলম এবং বাবা হাফিজুল আলমের পুরো পরিবার মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে; পুরো পরিবারই হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। মা ফাতেমা আলমের ছোট দুই মেয়ে রেশমা ও শাহনাজ অস্ত্র পরিষ্কারের কৌশল তাড়াতাড়ি শিখে ফেলে। রাইফেলের নল পরিষ্কার এবং খালি ম্যাগাজিন কীভাবে রিলোড করতে হয় তা তারা শিখে ফেলেছিল। কোনো অপারেশনের পর অস্ত্রগুলো পরিষ্কার করে সেগুলো গোপন স্থানে রাখার দায়িত্ব তারা নিয়মিতভাবে পালন করতো। সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রে অভিযানের সময় জুয়েল আহত হলে তাকে এই বাসায় এনে রাখা হয়। বড় মেয়ে আসমা এই আহত মুক্তিযোদ্ধার সেবা-শুশ্রূষা করেন। নিয়মিত ক্ষতস্থান পরিষ্কার, তাতে ড্রেসিং করে দিতেন। গৃহকর্ত্রী মা ফাতেমা আলম নীরবে-নিভৃতে যে কেউ যখন তখন আসতে পারেন তা সার্বিকভাবে নিশ্চিত করতেন।

বাবা হাফিজুল আলমের ট্রায়াম্ফ হেরাল্ড গাড়িটি প্রায়ই মুক্তিযোদ্ধাদের আনা-নেয়ার জন্য ব্যবহার করা হতো। ২নং সেক্টরের গেরিলারা তৎকালীন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘হিট অ্যান্ড রান’ নামে অভিহিত অভিযান চালায়। সেই অভিযানে বাবা হাফিজুল আলম নিজেই গাড়ি চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আনা-নেয়া করেন। এভাবে গেরিলাদের আশ্রয় দিয়ে অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক রাখায় তাঁদের পুরো পরিবারের সদস্যদের জীবন অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে ছিল। অসীম সাহস, দেশপ্রেম এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আস্থাই পুরো পরিবারকে এই মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অংশ করে রাখে।

Advertisement

১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধা রেশমার বয়স ছিল ১৭ বছর এবং আসমার ২৩ বছর কয়েক মাস। ২০ বছর বয়সে ওই পরিবারের একমাত্র পুত্রসন্তান হাবিবলু আলম যুদ্ধে যান। ২৯ অক্টোবর, ২০১৬ সালে সাক্ষাৎকারের সময় বীর প্রতীক হাবিবুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা রেশমা ও আসমা একাত্তরের দিনগুলোতে তাঁদের স্মৃতি থেকে বলেন, “২৭ মার্চ ধানমন্ডির লেকের পাড়ে লেফটেন্যান্ট মোয়াজ্জেমের ডেটবডি না দেখলে হয়তো যুদ্ধে যেতে দেরি হতো। শুধু তাই নয়, ২৫ মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, ছাত্রাবাস এবং শিক্ষকদের আবাসিক হলের লাশের মিছিলই মনের মধ্যে যুদ্ধে যাওয়ার উদ্দীপনা তৈরি করে। সেদিনের পর থেকেই মনে মনে সুযোগ খুঁজছিলাম কীভাবে যুদ্ধে যাওয়া যায়।

১৯৭১ সালে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে বন্ধু আলী আহমেদ জিয়াউদ্দীন দিলু রোডের বাসায় আসেন এবং মেজর খালেদ মোশাররফের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। বন্ধু জিয়াউদ্দীন সবেমাত্র যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরেছেন। ২৫ মার্চের আগে মেজর খালেদ মোশাররফ ছিলেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৪র্থ ব্যাটালিয়নের ২য় প্রধান ব্যক্তি আইসি যারা ২৭ মার্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। ইতোমধ্যে মেজর জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি বাহিনীর ২৫ মার্চের নির্মম হত্যাযজ্ঞের পরপরই বঙ্গবন্ধুর নামে রেডিওতে ঐতিহাসিক স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন।” (সূত্র : হাবিবুল আলম, ব্রেভ অফ হার্ট, একাডেমিক প্রেস অ্যান্ড পাবলিশার্স লাইব্রেরি; পৃষ্ঠা নং-৩)

রাজনীতির সঙ্গে হাবিবুল আলমের সরাসরি তেমন সম্পৃক্ততা ছিল না; মওলানা ভাসানীর আদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন। ১৯৬৫ সাল থেকে হকি ফার্স্ট ডিভিশনে মোহামেডানের হয়ে খেলতেন তিনি। মেজর খালেদ মোশাররফ এবং ক্যাপ্টেন হায়দার মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমেদ জিয়াউদ্দীন ও আশফাকুস সামাদকে ঢাকায় বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে পাঠান, যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মুক্তি বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কয়েক দিন ধরে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় হাবিবুল আলম, শ্যামল, কাইয়ুম , ভাষণ মুনীর এবং জিয়াসহ মোট ৫ জন ২নং সেক্টরে যোগ দেবেন। সেজন্য হাবিবুল আলমের সবচেয়ে কঠিন ছিল যে কাজটি তা হলো—মা ফাতেমা আলমকে মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের সিদ্ধান্তটি জানানো।

একমাত্র ছেলের মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের কথা শুনে অনেকক্ষণ ধরে কথা বলেননি মা ফাতেমা আলম, শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলেন। ছেলে হোস্টেলে বড় হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরও হোস্টেলে থাকতেন, তাই মা থেকে প্রায় দূরেই থাকা হতো। পরের দিন ফজরের আজানের আগেই খুব সকাল সকাল হাবিবুল আলম বিছানা থেকে উঠে তৈরি হয়ে বিছানায় রাখা কোলবালিশটি বিছানার মাঝখানে রেখে বেড কভার দিয়ে ঢেকে দেন।

Advertisement

মশারিটা খাটানোই ছিল বিছানায় যেন বোঝা যায়—তখনও তিনি বিছানায় ঘুমাচ্ছেন। বাড়ি ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের উদ্দেশ্যে মাকে লেখা একটি চিরকুট রেখে যান টেবিলের ওপর বইয়ের ভেতরে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণের পর জুন মাসে হাবিবুল আলমসহ মোট ১৭ জন গেরিলা সেক্টর কমান্ডারের নির্দেশে ঢাকা শহরের অপারেশনে প্রবেশ করেন। ঢাকা শহরের এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল, “অপারেশন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল-হিট অ্যান্ড রান”। জুলাই মাসে গেরিলা যোদ্ধারা সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা শহরের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ সরবরাহ উপকেন্দ্রে গেরিলা অভিযান চালানোর। ৫টির মধ্যে দুটি উপকেন্দ্র সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।

গেরিলা মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাসে সবচেয়ে মর্মান্তিক দুঃখজনক ঘটনা ঘটে আগস্ট মাসের শেষ দিকে। পাকিস্তান সৈন্যরা সবার আগে মুক্তিযোদ্ধা বদিকে ফাঁদ পেতে ধরে। ২৯ আগস্ট, ১৯৭১ সালে অধ্যক্ষ জালালুদ্দীনের বাসভবন থেকে তাকে ধরা হয়। অধ্যক্ষ জালালুদ্দীনের ছেলে ফরিদ ছিলেন বদির বন্ধু এবং ২৯ আগস্টের সেই রোববার তিনি বন্ধু ফরিদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। বেলা ১১টার সময় পাকিস্তানি কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা সে বাড়িটাকে ঘিরে ফেলে এবং তারা বদিকে গ্রেফতার করে।

মে মাস থেকে ঢাকা শহরে গেরিলারা যেসব গোপন স্থানে আস্তানা গড়ে তুলেছিল, পাকিস্তানিদের হাতে আটক মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা নির্যাতনের ফলে সেগুলো দেখিয়ে দেয়ায় ২৯ আগস্ট এবং ৩০ আগস্ট ভোররাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা সেগুলোতে অভিযান চালায়। অনেক শ্রমে গড়ে তোলা আস্তানাগুলো তাসের ঘরের মতো একটার পর একটা ভেঙে পড়ে। সেই রাতে ৭-৮ জন পাকিস্তানি সৈন্য গ্যারেজের করিডোর দিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে এবং তারা রান্নাঘর ও মূল ঘরের মাঝের জায়গাটুকুতে অবস্থান নেয়। শত্রু অফিসার ও সৈন্যরা দুই ফুট দূরত্বে দাঁড়িয়ে ছিল। তারা প্রথমেই মা ফাতেমা আলমকে জিজ্ঞেস করে রান্নাঘর কোথায়। তখন তিনি বুঝতে পারেন সৈন্যরা ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে, পুরোদস্তুর প্রস্তুত হয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যাওয়ার জন্যেই এসেছে।

একাত্তরে দেশ স্বাধীন করার স্বপ্ন নিয়ে রাতের অন্ধকারে ঘর ছেড়েছিলেন। ২৯ আগস্টে গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের ধরা পড়ার পর ১ সেপ্টেম্বর হাবিবুল আলমের দুই বোন আসমা, রেশমা এবং বাবা জনাব হাফিজলু আলম সেক্টর কমান্ডারের সঙ্গে দেখা করেন, তখন তাঁদের অবিলম্বে বিশ্রামগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের হাসপাতালে যোগ দিতে বলা হয়। সহযোদ্ধা শহীদ প্রথমে বাবা হাফিজুল আলম এবং দুই বোন— আসমা, রেশমাকে নিয়ে আগরতলায় চলে আসেন এবং পরে সেক্টর সদর দফতরে আসেন। বিশ্রামগঞ্জে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী পরিচালিত বাংলাদেশ হাসপাতালে ৪৫ জনের সঙ্গে নার্সিং শিখে কাজ শুরু করেন। আসমা-রেশমা কোনো নার্সিংয়ের প্রশিক্ষণ নিতে পারেননি। আর্মি-সুবেদারের কাছ থেকে দেখে শিখে নেন। জ্বরের চার্ট দেখা, ইনজেকশন দেয়া, ড্রেসিং করা, অপারেশনের সময় সহযোগিতা করা— এসব ছিল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দিনগুলোতে তাঁদের ওপর অপির্ত দায়িত।

১৪ ডিসেম্বর মেজর এটিএম হায়দার জানান, তিনি ভারতীয় একটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন। তিনি আশা করছেন, ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করবে। ১৬ ডিসেম্বর দুপুরের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধারা জানতে পারেন যে, সেদিন বিকেল ৪টা-৬টার মধ্যে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করবে। মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল আলমের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন স্বপ্ন ছিল দেশ স্বাধীন হবে, এদেশের মানুষ স্বাধীনতা পাবে, বাংলায় কথা বলবে সবাই, মানুষের জীবনযাত্রা বদলাবে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা—এ বিষয়ে মায়ের কোনো অনুভূতির প্রকাশ কখনো দেখতে পাননি। মা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন তাঁদের সব কাজের ক্ষেত্রে সহযোগী। কোনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না ফাতেমা আলম কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে তাঁর স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যান। একাত্তর সাধারণ মায়ের পরিচয় ছাপিয়ে তাঁকে পরিণত করে মুক্তিযোদ্ধার মা হিসেবে।

পরিচয় : মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল আলম বীর প্রতীক, আসমা এবং রেশমা মুক্তিযোদ্ধা : ২নং সেক্টর সাক্ষাৎকার গ্রহণের তারিখ : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সাক্ষাৎকার স্থান : নিউ ইস্কাটন, ঢাকা।

‘একাত্তর মুক্তিযোদ্ধার মা’, মার্জিয়া লিপি, অবসর প্রকাশনা সংস্থা, ৪৬/১ হেমেন্দ্র দাস রোড, সূত্রাপুর, ঢাকা-১১০০।

এইচআর/ফারুক/জেআইএম