আইন-আদালত

বিদেশ যেতে বাধা : দুদকের এখতিয়ার নিয়ে আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন

‘সুনির্দিষ্ট বিধি বা আইন প্রণয়ন না করা পর্যন্ত দুর্নীতি মামলার আসামি বা সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়ে দুদক নয়, সিদ্ধান্ত নেবেন বিশেষ জজ আদালত’ মর্মে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে আপিল আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

Advertisement

সোমবার (২২ মার্চ) দুদক আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৬ মার্চ উপরোক্ত পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

বিদেশ যাওয়ায় দুদকের নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নরসিংদীর আতাউর রহমান ওরফে সুইডেন আতাউর রহমানের করা এক আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।

Advertisement

হাইকোর্ট ওই দিন বলেছিলেন, এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ আদেশ দেয়ার সময় প্রয়োজনীয় গাইডলাইন ঠিক করে দেয়া হবে।

আদালতে ওই দিন আতাউর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মুন্সী মনিরুজ্জামান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ কে এম ফজলুল হক।

আদালত বলেছেন, বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়ে দুদকের সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধি নেই। এ কারণে এ বিষয়ে দ্রুত সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধিমালা করা প্রয়োজন। তাই আশা করছি, এ বিষয়ে দুদক বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আইন বা বিধি করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

২০২০ সালের ২৪ আগস্ট আতাউর রহমানের সম্পদের তথ্য চেয়ে নোটিশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। এই নোটিশের পর ২২ অক্টোবর তিনি তার সম্পদের তথ্য দুদকে দাখিল করেন।

Advertisement

এরপর দুদক অনুসন্ধানে নামে। এই অনুসন্ধানকালে দুদক গত বছরের ২০ ডিসেম্বর আতাউর রহমানের বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি দেয়।

ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন আতাউর রহমান। সেই রিটে জারি করা রুল শুনানি নিয়ে গত ১৬ মার্চ রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ওই চিঠিকে অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এফএইচ/এমআরআর/জিকেএস