কথায় আছে, ‘আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ’। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে শিশুকে আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। উন্নত পরিবেশ, আন্তর্জাতিক শিক্ষাব্যবস্থা ও বহুমুখী সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। তাহলে শিশুটি মেধা বিকাশ, সৃষ্টিশীলতা ও প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে স্থান লাভ করতে পারবে।
Advertisement
শিশুদের তেমনই একটি ব্যবস্থাপনার নাম ‘স্কুলিং ভিসা’। স্কুলিং ভিসা হচ্ছে শিশু বা স্কুল শিক্ষার্থীর জন্য। স্কুলিং ভিসা একটি জনপ্রিয় ভিসা। বাংলাদেশে কানাডা স্কুলিং ভিসার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে বিশ্বের অন্যতম উন্নত ও সুখী রাষ্ট্র কানাডায় এর ব্যাপক কদর আছে।
কানাডায় স্কুলিং ভিসার চাহিদা বাড়ার প্রধান কারণ হচ্ছে—
১. পড়াশোনা শেষে নাগরিকত্ব পাওয়া। ২. সাধারণত ৬-১৭ বছরের অধ্যয়নরত শিশুকেই এ ভিসা দেওয়া হয়। ৩. স্কুলিং ভিসায় বছরে সাধারণত ৩ বার ভর্তি আবেদনের সুযোগ আছে। ৪. জানুয়ারি, জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে আবেদন করা যায়।
Advertisement
এ ভিসার বিশেষ সুবিধা হচ্ছে—
১. স্কুল শিক্ষার্থীর সাথে তার বাবা-মাও যেতে পারেন। ২. ওই ছাত্র বা ছাত্রী পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট ও নাগরিক হওয়ার সুবিধা পাবে। ৩. শিক্ষার্থীর কোনো আইইএলটিএস লাগে না। ৪. শুধু ব্যাংক স্পন্সর থাকলেই হয়।
বিশ্বের আরও দেশ, যেমন- আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া এ স্কুলিং ভিসা দিয়ে থাকে। সেখানে বাবা-মাও যেতে পারেন। কিন্তু নাগরিকত্ব পাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। তাই কানাডা ছাড়া অন্য যেকোনো দেশে সাধারণত স্কুলিং ভিসার আবেদন দেখা যায় না।
কানাডার স্কুলিং ভিসা বাংলাদেশের স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুযোগ। এ সুযোগ শিশুদের জন্য কাজে লাগাতে পারলে আমাদের শিশুরা দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। প্রতিযোগিতার আগামী বিশ্বে তারা গৌরবময় স্থান দখল করতে পারবে।
Advertisement
এসইউ/জিকেএস