নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি ঢাকায় পৌঁছেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে তিনি ঢাকায় এলেন।
Advertisement
আজ (সোমবার) সকাল ১০টার দিকে বিদ্যা দেবী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী চার্টার্ড বিমানটি ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিমানবন্দরে নেপালের প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা জানান। এসময় ২১ বার তোপধ্বনির পর, বিমানবন্দরে নেপালের প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
এটিই বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রপতি পর্যায়ের প্রথম সফর। বিদ্যা দেবী ভান্ডারি ২২ ও ২৩ মার্চ দুইদিন ঢাকায় অবস্থান করবেন।
Advertisement
সফরসূচী অনুযায়ী কিছুক্ষণ পরই তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপরে তিনি জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও নেপালের শিল্পীদের পরিবেশনায় একটি সাংস্কৃতিক পর্বেরও আয়োজন করা হয়েছে।
সন্ধ্যায় নেপালের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং পারস্পরিক দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। উভয় রাষ্ট্রনেতার উপস্থিতিতে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এবার ট্রানজিট ও প্রটোকল চুক্তিতে ‘অপারেশনাল লাইজেশন অব রহনপুর-সিঙ্ঘাবাদ রেলওয়ে ট্রানজিট’ চুক্তির বিষয়টি নতুন করে সংযোজন করা হতে পারে। এতে করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর-ভারতের মালদহের সিঙ্ঘাবাদ সীমান্ত দিয়ে পণ্যবাহী ট্রেন নেপালের বিরাটনগর পর্যন্ত যাবে। মাঝে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করবে নেপাল।
বর্তমানে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ট্রানজিট ও প্রটোকল চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় নেপালকে ৬টি পোর্ট অব কল দেয়া হয়। এগুলো হলো চট্টগ্রাম বন্দর, মোংলা বন্দর, বেনাপোল, বাংলাবান্ধা, বিরল ও চিলাহাটি। এসব পোর্ট অব কলে নেপালের যানবাহন পণ্য পরিবহন করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাবান্ধা ছাড়া আর কোনো বন্দর দিয়ে নেপালে নিয়মিত পণ্য আসা-যাওয়া করে না।
Advertisement
দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে। চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলোতে দুই দেশের মধ্যে পর্যটন খাত, সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার হবে।
আজ রাতেই রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ নেপালের প্রেসিডেন্ট এবং তার প্রতিনিধিদলের সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করবেন।
আগামীকাল (২৩ মার্চ) নেপালের প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। এরপর তিনি কাঠমান্ডু ফিরে যাবেন।
নেপালের প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধিদলে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিব ছাড়াও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
এসইউজে/এমএইচআর/জেআইএম