ভারতে একের পর এক দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড হচ্ছে। টানা কয়েকদিন ধরেই দেশটিতে সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে দেখা গেছে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪৩ হাজার ৮৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। প্রায় চার মাসের মধ্যে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ।
Advertisement
সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকায় পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুতে পুনরায় স্কুল বন্ধ রাখার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এছাড়া গণসমাবেশসহ আরও বেশ কিছু বিধি-নিষেধও জারি হতে যাচ্ছে। এছাড়া সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে লকডাউন জারি হতে পারে।
১১২ দিনের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, কেরালা, কর্নাটক এবং গুজরাটে গত কয়েকদিন ধরেই সংক্রমণের রেকর্ড হচ্ছে। মোট সংক্রমণের বেশিরভাগই ওই পাঁচ রাজ্যে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ১৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৫৫ জন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত তিন দিনেই দেশটিতে প্রায় এক লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গত শনিবার নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার ৯৫৩ এবং শুক্রবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৭২৬ জন। এর আগের দিন আক্রান্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৮৭১ জন।
Advertisement
দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৫ লাভ ৯৯ হাজার ১৩০। বেশ কয়েকটি রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বেশ আশঙ্কাজনক। এসব রাজ্যে সংক্রমণ ঠেকানো যাচেছ না।
এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য হচ্ছে মহারাষ্ট্র। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, পুরো ভারতে যত সংক্রমণ ঘটেছে তার মধ্যে ৬২ শতাংশই মহারাষ্ট্রে। শনিবার দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২৭ হাজার ১২৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ওই রাজ্যে ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে রাজধানী দিল্লিতে নতুন করে ৮শ'র বেশি সংক্রমণ ঘটেছে যা এ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
মধ্যপ্রদেশের রাজ্য সরকার রাজধানী ভুপাল, ইন্দোর এবং জয়পুরে লকডাউন ঘোষণা করেছে। ওই তিন শহরে শনিবার রাত ১০টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে। এছাড়া সেখানকার স্কুল এবং কলেজ আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পাঞ্জাবে আজ থেকে মাসের শেষ পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে সিনেমা হল এবং বিভিন্ন শপিংমলে লোকজনের চলাচলে সীমাবদ্ধতা আনা হয়েছে।
Advertisement
টিটিএন/এমএস