আইন-আদালত

দুই মামলায় ‘ক্যাসিনো’ খালেদের বিচার শুরু

বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক দুই মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ওরফে ক্যাসিনো খালেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

Advertisement

এর মধ্য দিয়ে এ দুই মামলায় তার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। একইসঙ্গে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১ জুন দিন ধার্য করেন আদালত।

রোববার (২১ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর গুলশান থানায় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে সিআইডি।

Advertisement

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার গুলশানের বাসায় অভিযান চালায়। ওই বাসা থেকে ছয়টি দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের ১০ হাজার ৫০ ডলার, থাইল্যান্ডের ১০ হাজার ৪৯০ বাথ, ভারতীয় সাড়ে তিন হাজার রুপি, সৌদি আরবের দুই হাজার ৩২১ রিয়াল, মালয়েশিয়ান ৬৫৬ রিঙ্গিত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭৫ দিরহাম ছিল।

অপর দিকে চলতি বছরের শুরুতে মতিঝিল থানায় মাদক আইনে করা মামলায় চার্জশিট দেয় পুলিশ।

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর নিজ বাসা থেকে খালেদ মাহমুদকে আটক করা হয়। র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের তৎকালীন পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আটক খালেদকে র‌্যাব-৩ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে দুই থানায় চার মামলা দায়ের করা হয়।’

আটকের সময় খালেদের বাসা থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা, লকার থেকে ১০০০, ৫০০ ও ৫০ টাকার বেশ কয়েকটি বান্ডিল উদ্ধার করা হয়। সেগুলো গণনার পর ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এ ছাড়া তার কাছ থেকে তিনটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। যার একটি লাইসেন্সবিহীন, অপর দুটি লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে রাখা হয়েছিল।

Advertisement

এরপর খালেদকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

জেএ/এমএইচআর/এমএস