যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) দ্বিতীয় সমাবর্তন ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।আর এ উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ উপস্থিত থেকে ৬০৪ জন ডিগ্রিধারীকে সনদ প্রদান করবেন। এর মধ্যে ১৬ জন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে।সোমবার বিকেলে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুস সাত্তার জানান, দ্বিতীয় সমাবর্তনে স্নাতকের ৫৪০ জন এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ৬৪ জনসহ মোট ৬০৪ জনকে সনদ প্রদান করা হবে। এদের মধ্যে অনুষদের প্রথম স্থান অধিকারী পাঁচজনকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, বিভাগের প্রথম স্থান অধিকারী পাঁচজনকে ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক ও সিজিপিএ চার পয়েন্টের মধ্যে ৩ দশমিক ৫০ এর বেশি পয়েন্টপ্রাপ্ত ছয়জনকে ডিন পদক প্রদান করা হবে। উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুস সাত্তার আরো জানান, দ্বিতীয় সমাবর্তন ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও কাজ করছে। সোমবার সামরিক-বেসামরিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা পর্যায়ে সভা হয়েছে। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সমাবর্তন সম্পন্ন করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন উপাচার্য। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর শেখ আবুল হোসেন, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আহসান হাবীব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবদুর রশিদ, সহকারী অধ্যাপক নাসিম রেজা ও এ এম স্বরাজ, জনসংযোগ দফতরের সহকারী পরিচালক হায়াতুজ্জামান মুকুল প্রমুখ। উল্লেখ্য, যশোর শহর থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে যশোর-চৌগাছা সড়কের আমবটতলায় ৩৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ২০০৯ সালের ১০ জুন চারটি বিভাগে পাঠদানের মধ্যে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ছয়টি অনুষদে ১৮টি বিভাগে বিএসসি, এমএসসি, পিএইচডি, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে তিন হাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছেন। সেশনজটমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বমানের আধুনিক উচ্চতর শিক্ষা কার্যক্রম এবং প্রায়োগিক ও বাস্তবমুখী গবেষণাকর্ম সু-শৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। ২০১৩ সালের ১০ মে এখানে প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এরপর দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৬ নভেম্বর।মিলন রহমান/এআরএ/পিআর
Advertisement