সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি তেল পরিশোধনাগারে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনি হুথি বিদ্রোহীরা। হামলায় স্থাপনাটিতে আগুন ধরে যায়। তবে এতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে সৌদির জ্বালানি মন্ত্রণালয়। খবর রয়টার্সের।
Advertisement
জানা যায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান আরামকোর তেল পরিশোধনাগারটিতে হামলা চালায় ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা।
হুথি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া জানিয়েছেন, এদিন সৌদি রাজধানীতে ছয়টি ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ভোরে ছয়টি ড্রোন দিয়ে অভিযান চালিয়েছে…যা সৌদি ‘শত্রুদের’ রাজধানী রিয়াদে আরামকো কোম্পানিতে হামলা করেছে।
Advertisement
তবে ড্রোনগুলো কোথা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে তা নিশ্চিত করেনি কোনও পক্ষ। হামলার বিষয়ে আরামকো তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
সৌদি জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার পর আগুন দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এর কারণে তেল সরবরাহে কোনও সমস্যা হবে না।
তাদের কথায়, এধরনের হামলা শুধু সৌদি আরবের নয়, গোটা বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সৌদি আরবে হামলার সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। সারিয়া বলেছেন, ইয়েমেনে যতদিন সৌদির ‘আগ্রাসন’ চলবে, ততদিন এধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে। ২০১৪ সালের শেষের দিকে ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি সরকারকে উৎখাত করে দেশটির একটি বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয় হুথি গোষ্ঠী। তাদের দমনে ২০১৫ সালের মার্চে ইয়েমেনে অভিযান শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট।
Advertisement
গত পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে ইয়েমেনি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সৌদি জোটের এ সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ, ঘরছাড়া হয়েছেন কয়েক লাখ। গত কয়েক দশকের মধ্যে ইয়েমেনেই বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
কেএএ/এএসএম