স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দেশীয় চাহিদার প্রায় ৯৭ শতাংশ ওষুধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। ওষুধ শিল্পে গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস (জিএমপি) অনুশীলনে অগ্রগতি ও উৎপাদিত ওষুধ আর্ন্তজাতিক মান-সম্পন্ন হওয়ায় বর্তমানে দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ১০২টি দেশে রফতানি হয়ে আসছে। বাংলাদেশ ওষুধ আমদানিকারক দেশের পরিবর্তে রফতানিকারক দেশ হিসেবে গৌরব অর্জন করেছে।জাতীয় সংসদে সোমবার সরকার দলীয় নিজাম উদ্দিন হাজারীর (ফেনী-২) লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা জানান। সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে জবাব দেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।এম আবদুল লতিফের (চট্রগ্রাম-১১) প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পক্ষে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ২০১৪ সালে প্রকাশিত বিডিএইচএস সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী শূন্য থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৪৬ জন। যা ১৯৯০ সালে ছিল ১৩৩ জন। সেই অনুযায়ী শিশু মৃত্যুর হার ৭৩ শতাংশ কমেছে।প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী প্রতি হাজারে শিশু মৃত্যুর হার ২৫-এ নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বাংলাদেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে শিশু মৃত্যুর হার এক হাজারে জীবিত জম্মে ২০-এ নামিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছে। সেই লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির (মহিলা আসন-৩০) অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বৈধ লাইসেন্সপ্রাপ্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ৯ হাজার ১৭টি।বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার বিষয়ে ১৯৮২ সালের দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস রেগুলেশন (অর্ডিন্যান্স) নীতিমালা বিদ্যমান রয়েছে।এইচএস/একে/পিআর
Advertisement