দেশজুড়ে

ভোলার ২১টি চরে আসছে বিরল প্রজাতির পাখি

ভোলার চরাঞ্চলে আসতে শুরু করেছে বিশ্বের বিরল ও বিলুপ্ত প্রায় এমন প্রজাতির পাখি। মেঘনা তেঁতুলিয়া আর সাড়র মোহনার ২১ চরে প্রতিবারের মতো এবার পারিযা পাখি আসছে। পাখি পর্যবেক্ষকদের মতে বিশ্বের মহাবিপন্ন পাখি চামচঠুঁট বাটান এবং সংকটাপন্ন পাখি দেশি গাঙচষা ছাড়াও অনেক প্রজাতির হাস ও সৈকত পাখি শীতে ভোলার চরগুলোতে এসে বসবাস করে। তাই বিশ্বের বহু বিপন্ন পাখির টিকে থাকার জন্য এই অঞ্চলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সোমবার ঢাকা থেকে আসা বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের তিন সদস্য পাখি শুমারি ও পর্যবেক্ষণ শুরু করেছেন। তারা মেঘনা, তেঁতুলিয়া ও সাগর মোহনার চরাঞ্চলে পাখি গণনা শুরু করেন।   বন্যপ্রাণি গবেষক ও পাখি রিংগার সামিউল মোহসেনিনের নেতৃত্বে `নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট` (নেকম) এবং `বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের` (বিবিসি) তিন সদস্য ওই টিমে রয়েছেন। বিশ্বব্যাপী বিপন্ন পাখি কি পরিমাণ উপকূলে আসে তা পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাও করছেন তারা।   বাংলাদেশ বন বিভাগের এস.আর.সি.ডক্লিউ.পি (Strengthening Regional Co-operation for Wildlife) প্রজেক্টের অধীনে ভোলা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও পটুয়াখালী জেলার উপকূলীয় পাখি-সমৃদ্ধ ৩০টি চরে এ গণনা চলবে বলেও জানান দল প্রধান সামিউল।  সপ্তাহব্যাপী তারা ট্রলারযোগে বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেষা ভোলা গারুরিয়া চর, মাঝের চর, ঢালচর, চর তাজাম্মুল,  নিঝুম দ্বীপ, দমার-চর, চর-শাহজালাল, সোনার চর ও ঢাল-চর, চরপাতিলা, চর নিজামসহ চরাঞ্চলে অবস্থান করার পাশপাশি গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন বলেও সূত্র নিশ্চিত করে। বাংলাদেশে যে পরিমাণ পারিযা ও জলচর পাখি অবস্থান করে তার ৪০ ভাগ ভোলাতে দেখা যায়। এসব পাখিদের নিরাপদে বাসযোগ্য করার পরিবেশ তৈরিতে পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তাব করেনদিল প্রধান। এ দল পাখির খোঁজে ভারত, ভুটান, ইংল্যান্ড ও আমেরিকা সফর করে। তারা জানান, পরিবেশ থেকে কোনো একটি পাখি বিলুপ্ত হয়ে গেলে তার ক্ষতি সুদূরপ্রসারী। আর কোনো পাখি বা প্রাণি বিলুপ্ত হয়ে গেলে সে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। তাই জীববৈচিত্র ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে তারা এ গবেষণার কাজ শুরু করেছেন। বন্যপ্রাণি গবেষক দলে থাকা অপর সদস্য বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ বন্যপ্রাণি গবেষক ওমর শাহাদাত জাগো নিউজকে জানান, ভোলার ২১টি চরে পাখির অবস্থান রয়েছে। অমিতাভ অপু/এমজেড/পিআর

Advertisement