সমীরণ বিশ্বাস
Advertisement
১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার উল্লেখযোগ্য দিক ছিল, মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন এবং ত্রাণ কার্যক্রম। অন্যদিকে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য ছিল: ১. দারিদ্র্য দূরীকরণ, ২. কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি, ৩. মৌলিক চাহিদা পূরণ এবং ৪. কৃষি উন্নয়ন। কিন্তু ১৯৭১-পরবর্তী বাস্তবতা ছিল নির্মম। সেই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের চিত্র রয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু কোষ’ গ্রন্থে। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে (২৫.০৩.৭১-১৬.১২.৭১) দখলদার পাকিস্তান বাহিনীর জ্বালাও-পোড়াও নীতির ফলে বাংলাদেশ এক বিধ্বস্ত ভূখণ্ডে পরিণত হয়েছিল। এর প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস বাংলাদেশের স্কুল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কল-কারখানা, ব্যাংক, ডাক বিভাগ ইত্যাদি কার্যত ছিল বন্ধ। কালভার্ট-ব্রিজ-সেতু ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিধ্বস্ত হয়েছিল। মাইন পোঁতার কারণে নৌবন্দরগুলো ছিল অচল। খাদ্যগুদাম, সেচ-পাম্প, হাট-বাজার ইত্যাদি সবকিছুই প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল। নিম্নে বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়া হলো:
১. ধ্বংসপ্রাপ্ত সরকারি-বেসরকারি ভবনমুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী সারা বাংলাদেশে প্রায় ৪৩ লাখ বসতবাড়ি, ১৮ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬ হাজার হাইস্কুল ও মাদ্রাসা, ৯শ কলেজ ভবন, ৩ হাজার অফিস ভবন, ১৯ হাজার গ্রাম্য হাট-বাজার পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া রাজাকার-আলবদর-দালাল ও বিহারিরা সারাদেশে লুটের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তারা বাড়ি-ঘরের টিন, কাঠ, আসবাবপত্র, সাইকেল, ঘড়ি, অলংকার, বাসনপত্র ইত্যাদি লুট করে।
২. কৃষিক্ষেত্রে ধ্বংসযজ্ঞমুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দেশের শস্য উৎপাদন, স্বাভাবিকভাবেই বিঘ্নিত হয়েছিল। আর কৃষি অবকাঠামো ধ্বংস ক’রে দিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী ও তার দোসররা। সরকারি গুদাম, গুদামে মজুদ খাদ্যশস্য, সার-বীজ-কীটনাশক, ঔষধ, মাঠের গভীর ও অগভীর নলকূপ ইত্যাদি পরিকল্পনা ক’রেই ধ্বংস করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকার-আলবদর-দালালরা কয়েক লক্ষ হালের বলদ ও গাভী জবাই ক’রে মাংস খেয়েছে; ফলে হালচাষের জন্য গবাদিপশুর সংকট সৃষ্টি হয়। কৃষি-অবকাঠামো ধ্বংস হওয়ায় খাদ্য উৎপাদন কমে যায় এবং খাদ্যঘাটতি দেখা দেয়। বঙ্গবন্ধু যখন ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি শাসনভার গ্রহণ করেন তখন খাদ্যঘাটতি ছিল ৪০ লক্ষ টন।
Advertisement
৩. বিপর্যস্ত শিক্ষা-কার্যক্রমমুক্তিযুদ্ধের নয় মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। শিক্ষকগণ বেতন পান নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসবাবপত্র, বেঞ্চ, টেবিল-চেয়ার-ইত্যাদি লুটপাট করা ছাড়াও আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হানাদার বাহিনী ক্যাম্প স্থাপন করেছিল। সেসব ক্যাম্পে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র ও বই-পুস্তক জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। এভাবে দেশের অসংখ্য গ্রন্থাগার ও অনেক দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ ১৯৭১ সালে ধ্বংস হয়েছে।
৪. ধ্বংসপ্রাপ্ত যোগাযোগ ব্যবস্থামুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল। শত্রুর চলাচল-পথে বিঘ্ন সৃষ্টির জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করার উদ্দেশ্যেও ব্রিজ-কালভার্ট-সেতু ধ্বংস করা হয়। এভাবে সারাদেশে ২৭৪টি ছোট-বড় সড়ক সেতু ও ৩০০টি রেলসেতু ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। সে-সময় প্রায় ৭৫ কি.মি. রেল লাইনের সম্পূর্ণ অংশ এবং ২২০ কি.মি. রেল লাইনের আংশিক ক্ষতি হয়েছিল। তাছাড়া ১৫০টি বগি ও কয়েকটি রেল ইঞ্জিন ধ্বংস হয়। রেল ইঞ্জিন ও বগি মেরামতের কারখানা ধ্বংস ক’রে দেয়া হয়। সরকারি পরিবহনের বাস, ট্রাক ও অন্যান্য গাড়ি ধ্বংস করা হয়। সারাদেশে প্রায় ৩,০০০ মালবাহী নৌকা ও মাল পরিবহনের সরকারি কার্গোজাহাজ ডুবিয়ে দেয়া হয়। মাইন পোঁতার কারণে চট্টগ্রাম ও চালনা বন্দর অচল হয়ে পড়ে। দেশের বিমান বন্দরসমূহের রানওয়ের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা হয়।
৫. বিধ্বস্ত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থামুক্তিযুদ্ধের সময় টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রেও ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণের পূর্বে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবনের ট্রাঙ্ক ব্যবস্থা ধ্বংস করে। টেলিফোন সংস্থার নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলে। ফলে ঢাকার সাথে বিভিন্ন জেলাশহরের টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
৬. বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ক্ষতিসাধনমুক্তিযুদ্ধের সময় সারাদেশে বিদ্যুৎ সাবস্টেশনগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল। অনেক স্থানে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন ও বিদ্যুৎ পোল নষ্ট করা হয়েছিল। গোডাউন থেকে বিদ্যুতের তার লুটপাট হয়। ফলে দেশ প্রায় বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় পড়ে।
Advertisement
৭. ব্যাংক ও শিল্প-কলকারখানায় লুটপাটমুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যাংক থেকে টাকা-পয়সা ও গচ্ছিত সোনা লুটপাট হয়। উপরন্তু আত্মসমর্পণের পূর্বে পাকিস্তানি বাহিনী ব্যাংকসমূহে গচ্ছিত কাগজের নোট ও ব্যাংকের নথিপত্র পুড়িয়ে দেয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় শিল্প-কলকারখানাগুলোও প্রায় বন্ধ ছিল। অনেক স্থানে কলকারখানার যন্ত্রপাতি লুট হয়। খুচরা যন্ত্রাংশের অভাবে অনেক মিল অকেজো হয়ে পড়ে।
এভাবে মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর - এ দেশীয় রাজাকার, আলবদর, আলশামস্, দালাল ও বিহারিরা কেবল ৩০ লক্ষ বাঙালিকে হত্যা ও ২ লক্ষ নারীকে নির্যাতনই করে নি, তারা বাংলাদেশকে এক পোড়ামাটির বিধ্বস্ত১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু এরকম এক বাংলাদেশ পেয়েছিলেন। মাত্র তিন বছরের শূন্য থেকে তিনি বাংলাদেশকে আবার গড়ে তুলেছিলেন। সেই অগ্রযাত্রায় ‘সিসিডিবি’ সম্পৃক্ত হয়েছিল।
দুই.খ্রীষ্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি) যুদ্ধাহত অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য ঢাকার আগারগাঁয়ে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে (১৯৭২ ফেব্রুয়ারি) Prof. R. J. Grast, মার্কিন অর্থোপেডিক সার্জনের নেতৃত্বে একটি সেবাকেন্দ্র স্থাপন করে। এই সেবাকেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যসেবা পেয়েছেন যুদ্ধাহত অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা। যার কারণে সেবাকেন্দ্রটিকে “জনতা মুক্তিবাহিনী হাসপাতাল” বলে ডাকতো। সময়ের পরিক্রমায় যেটি আজ National Institute of Traumatology and Orthopedic Rehabilitation (NITOR) নামে পরিচিত।
একই সময় যুদ্ধবিধ্বস্ত অনগ্রসর এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবার জন্য তৎকালীন নোয়াখালির কোম্পানিগঞ্জ এলাকায় বঙ্গবন্ধুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সিসিডিবি পরিকল্পিতভাবে প্রথম স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করে। যেটি সময়ের পরিক্রমায় আজ “উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স” নামে অভহিত। পরবর্তীতে সিসিডিবি সারাদেশব্যাপী আরো বড়বড় প্রকল্প হাতে নেয় যার মধ্যে রয়েছে - Traditional Birth Attendance (TBA)। উক্ত প্রকল্পের আওতায় সারা বাংলাদেশে হাজার-হাজার ধাতৃমাতাকে স্বাস্থ্যসম্মত প্রসবের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়। সেই থেকে ডেলিভারি কীট ব্যবহার শুরু হয়। যার ফলে মা ও শিশুর মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। পরবর্তীকালে যা সরকার জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করে। একই সময় সিসিডিবি ‘কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার’ নামে আরো একটি বড় প্রকল্প পরিচালিত হয়।
স্বাধীনতা-উত্তর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ এবং কর্মসূচি ছিল ত্রাণ ও পুনর্বাসন। খ্রীষ্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি) ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে ১৩ মিলিয়ন ডলার (৯,৩৬,০০,০০০) টাকার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচি বাস্তবায়নের কাজ হাতে নেয়। এখানে উল্লেখ্য যে, ১৩ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটি বঙ্গবন্ধুর হস্তক্ষেপে ছাড়পত্র পায়। মূলত জরুরি ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে খ্রীষ্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি)-এর জন্ম।
বস্তুত উল্লিখিত আপদকালীন অবস্থায় সিসিডিবি সাহায্য ত্রাণ, পুনর্বাসন ও পুর্নগঠন কাজে সেই প্রথম থেকে অদ্যাবধি অগ্রযাত্রীর ভূমিকা পালন করে চলেছে। এই প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য জেলেদের উন্নয়নে প্রকল্প গঠন করে। এছাড়া দক্ষিণ অঞ্চলে জেলেদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সমবায়ের ভিত্তিতে একাধিক আইস প্ল্যান্ট (বরফ কল) স্থাপন করা হয়, যা আজো বরিশাল, পটুয়াখালি, মানিকগঞ্জ এলাকায় সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই প্রকল্পের আওতায় জেলেরা পেয়েছে শত-শত জাল ও নৌকা।
ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে জানমাল রক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সাথে সমন্বয় রেখে খ্রীষ্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি) তার প্রকল্প এলাকায় ৪৭টি সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করেন, যাতে ক’রে আকস্মিক প্রাকৃতিক ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে মানুষের প্রাণ রক্ষা পায়।
১৯৮৪ সালে সিসিডিসি কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প নামে একটি খুব বড় প্রকল্প চালু করে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় বৃহত্তর বরিশাল, পাবনা ও রাজশাহী অঞ্চলে হাজার-হাজার কৃষককে কৃষিতে আধুনিক চাষাবাদ ও প্রযুক্তি প্রদানের লক্ষ্যে সেচ পাম্প এবং ট্রাক্টর বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। একই প্রকল্পের আওতায় কৃষিতে বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার হিসেবে সোলার পাম্প ব্যবহার ক’রে কৃষকরা সেচ কাজ সম্পন্ন করে। এর ফলে কৃষি উৎপাদনে এক বিপ্লব সাধিত হয়। বঙ্গবন্ধুর পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জনে সিসিডিবি আজও আধুনিক কৃষি এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণে বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।
সিসিডিবি অনগ্রসর আদিবাসী উন্নয়ন প্রকল্প নামে বান্দরবান এবং উত্তরবঙ্গের আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাথে তাদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রকল্প-বাস্তবায়ন করেছি। একই সময় মহিলাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে মহিলাদের স্থানীয় সংগঠন তৈরির মাধ্যমে তাদেরকে ক্ষমতাবান ও তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য ছিল দারিদ্র্যতা দূরীকরণ। তারই ধারাবাহিকতায় খ্রীস্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি) ১৯৭২ সাল থেকে প্রথমে সেক্টরাল অর্থাৎ একমুখী, তারপর বহুমুখী, জনমুখী তারপরে সমন্বিত দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি (সিপিআরপি) নামে ৬০ হাজার উপকারভোগীর সাথে নিরবচ্ছিন্নভাবে সারা বাংলাদেশে কর্মসূচি বাস্তবায়ন ক’রে চলেছেন। উক্ত প্রকল্পের আওতায় বয়স্ক শিক্ষা, উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা, নারী উন্নয়ন, নারী সমতা, নারী শিক্ষা, সঞ্চয়, সংগঠন তৈরি, নেতৃত্বের বিকাশ-উন্নত চুলা ব্যবহার, আয়-বৃদ্ধি এবং সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে একটি পূণাঙ্গ মর্যাদাসম্পন্ন সমাজ গঠনের জন্য কাজ ক’রে যাচ্ছে। সমতা, শান্তিপূর্ণ, দায়িত্বশীল ও যত্নবান সমাজ গঠনে সরকারের পাশাপাশি সিসিডিবি সেই ১৯৭২ সাল থেকে আজ অবধি নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ ক’রে চলেছে এবং ভবিষ্যতে একাজ অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা রাখে।
লেখক : কোঅর্ডিনেটর, অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড সিড প্রোগ্রাম, সিসিডিবি।
এইচআর/এমএস