চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পর এবার বোয়ালখালীর একটি মাদরাসায় ৯ বছর বয়সী এক ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করেছেন শিক্ষক। বুধবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাতে পূর্ব গোমদন্ডী নুরীয়া সিদ্দীকীয়া হাফেজখানা ও মীর ছমুদা এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
মারধরের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. কাউছারকে (২১) আটক করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী ছাত্রের নাম জায়েদ সারোয়ার আলম মিশকাত। সে পূর্ব গোমদন্ডী শাহ মোহাম্মদ চৌধুরী পাড়ার প্রবাসী মনছুর আলমের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার দিবাগত রাতে পূর্ব গোমদন্ডী নুরীয়া সিদ্দীকীয়া হাফেজখানা ও মীর ছমুদা এতিমখানায় মিশকাতকে পিটিয়ে আহত করেন শিক্ষক কাউছার। আজ মিশকাতের পরিবারের অভিযোগ পেয়েই তাকে আটক করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কাউছার বাঁশখালী উপজেলার বইলছড়ি ইউনিয়নের আলী আকবরের ছেলে বলে জানিয়েছেন।
এদিকে মিশকাতের পরিবার জানিয়েছে, গত এক বছর ধরে ওই মাদরাসায় পড়ালেখা করছিল মিশকাত। কিন্তু গতকাল (বুধবার) রাতে ঠুনকো অভিযোগে তাকে মারধর করেন মাদরাসা শিক্ষক কাউছার। মারধরের কারণে রাতেই জ্বর আসে মিশকাতের। পরে ঘটনা জানতে পেরে আজ দুপুরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন অভিভাবকরা।
Advertisement
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম জাগো নিউজকে বলেন, দুপুরে অভিযোগ পেয়ে ওই মাদরাসা শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর একটি মাদরাসায় ৮ বছর বয়সী এক ছাত্রকে নির্মম নির্যাতন করা হয়। সেই নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। গত ৯ মার্চ থেকে হাজার হাজার মানুষ ওই ভিডিও শেয়ার করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রশাসন আটক করলেও রাত ২টা পর্যন্ত উপজেলা অফিসে অবস্থান করে সেই হুজুরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান নির্যাতিত শিশুর মা-বাবা।
পরে গত ১০ মার্চ বিকেলে রাঙ্গুনিয়ার সাফরভাটা এলাকা থেকে ইয়াহহিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শিশুর মা পারভিন বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই শিক্ষক এর আগে বুধবার বিকেলে রাঙ্গুনিয়ার সাফরভাটা এলাকা থেকে ইয়াহহিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শিশুর মা পারভিন বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই শিক্ষক বর্তমানে কারাগারে আছেন।
এমএসএইচ/জেআইএম
Advertisement