বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রথম কাজটাই হওয়া উচিত ছিল তার (খালেদা জিয়া) মুক্তির দাবিতে অন্তত একটা দিন কোনো কর্মসূচি করা। কারণ বেগম খালেদা জিয়া হলেন বড় মুক্তিযোদ্ধা,সে সময় মাসুম দুটি সন্তান নিয়ে তিনি জেলখানায় ছিলেন। কিন্তু এটা যেন আমরা ভুলে গেছি। জেনে-বুঝে কেন যেন আমরা সেখান থেকে সরে গেছি।’
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। সব ভাবনাই আমাদের মধ্যে আছে। কিন্তু একটা ভাবনা আমরা ভাবতে পারছি না। সেটা হচ্ছে উনি (বেগম খালেদা জিয়া) কারাগারের মধ্যে আছেন আর আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু সুবর্ণজয়ন্তীর প্রথম কাজটাই হওয়া উচিত ছিল তার (খালেদা জিয়া) মুক্তির দাবি করে অন্তত একটা দিন কোনো কর্মসূচি করা। কারণ তিনি হলেন বড় মুক্তিযোদ্ধা, সে সময় মাসুম দুটি সন্তান নিয়ে তিনি জেলখানায় ছিলেন। কিন্তু এটা যেন আমরা ভুলে গেছি। জেনে বুঝে কেন যেন আমরা সেখান থেকে সরে গেছি।’
সুবর্ণজয়ন্তী আয়োজক কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করে ছাত্রদলের এই সাবেক সভাপতি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ মাথায় রাখলে গণতন্ত্র মাথায় রাখতে হবে। গণতন্ত্র মাথায় রাখলে, এই স্বৈরতন্ত্রের বিরোধিতা করতে হবে। মানে একটা সাজানো-গোছানো অনুষ্ঠান করার কোনো দরকার নেই। ইতিহাসের সাক্ষী যদি আমরা হই, ইতিহাসের কথাই বলতে হবে। এরা সরকার যা বলছে এগুলো তো আমরা মানি না। আর মানি না বলেই আলাদা কমিটি আলাদা আয়োজন।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘এই কথাগুলো বলছি কারণ খন্দকার দেলোয়ার এখন আর নাই। তিনি সত্যের সেবক ছিলেন। ন্যায়ের প্রতীক ছিলেন। তিনি গণতন্ত্রের সাধক ছিলেন। স্বৈরতন্ত্রকে কীভাবে বিতাড়িত করতে হয় তার শিক্ষক ছিলেন। আসুন আমরা তার কাছে ফিরে যাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ নিতে পারে। খন্দকার দেলোয়ারের কাছ থেকে আমরা নিয়েছি। কিন্তু কিছু কি দিতে পেরেছি? তার সন্তানকে আঘাত করা হয়েছে। তার সন্তানদেরকে যথাযথ সম্মান দিয়েছি নাকি উপেক্ষা করেছি? এসব কথা বলা খুব কঠিন। সহজভাবে বলা যায় না।’
জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আসুন সবকিছু বাদ দিয়ে আসল কাজটা করি। খন্দকার দেলোয়ার গণতন্ত্র, স্বাধীনতা চেয়েছিলেন। তিনি তার স্বপ্ন পূরণ করতে চেয়েছিলেন। আমরা সেটা বাস্তবায়ন করতে পারলে খন্দকার দেলোয়ারের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা দেখানো হবে।’
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
কেএইচ/এসএস/জিকেএস