সুনামগঞ্জের শাল্লার সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। এক মামলার বাদী শাল্লা থানার সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল করিম এবং অন্য মামলার বাদী স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল।
Advertisement
শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক জাগো নিউজকে বলেন, পুলিশের পক্ষে মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে এবং গ্রামবাসীর পক্ষে আরেকটি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৮০ জনকে।
সুনামগঞ্জের শাল্লায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হকের সমর্থকদের বিরুদ্ধে মন্দিরসহ শতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে বুধবার (১৭ মার্চ) উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
এর আগে সোমবার (১৫ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঝুমন দাস আপন (২৩) নামের এক যুবক আল্লামা মামুনুল হককে নিয়ে কটাক্ষ করেন। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) রাতে স্থানীয়রা ওই যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার লোক রামদা, লাঠি-সোটা নিয়ে ওই গ্রাম ঘিরে ফেলে।
নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাজার হাজার মানুষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রামে হামলা চালায়। এ সময় গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে থাকা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন ছাড়াও গ্রামের চন্ডিপুর মন্দির, দুর্গামন্দির, কালী মন্দির, শিব মন্দির, বিষ্ণু মন্দিরের পুরোহিতরাও গ্রাম ছেড়ে হাওরের দিকে চলে যান। এসময় হামলাকারীরা বাড়িঘরে লুট করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।