আন্তর্জাতিক

ফাইনালে হেরে কুস্তিগীর গীতা ফোগতের বোনের আত্মহত্যা

বিখ্যাত ভারতীয় কুস্তিগির গীতা ফোগত ও ববিতা ফোগতের চাচাত বোন রীতিকা ফোগত আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ১৭ বছর বয়সী এই কিশোরীও কুস্তিগির ছিলেন। সম্প্রতি এক কুস্তি প্রতিযোগিতার ফাইনালে হেরে যান তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, এ ঘটনার জেরেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেন হরিয়ানা রাজ্যের এই নারী কুস্তিগীর।

Advertisement

বুধবার (১৭ মার্চ) স্থানীয় সময় দিবাগত রাতে হরিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, গত সোমবার গীতা-ববিতার বাবা মহাবীর ফোগতের বাড়িতেই রীতিকা আত্মহত্যা করেন। নিজের মেয়েদের মতোই রীতিকাকেও প্রশিক্ষণ দিতেন মহাবীর। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, রাজ্য পর্যায়ের একটি বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন রীতিকা। গত ১২ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত রাজস্থানের ভরতপুরে অনুষ্ঠিত ওই প্রতিযোগিতা। এজন্য দীর্ঘদিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন রীতিকা। শেষ পর্যন্ত ৫৩ কেজির ক্যাটেগরিতে ফাইনালেও ওঠেন তিনি। কিন্তু শেষ হাসিটা হাসতে পারেননি তিনি। মাত্র এক পয়েন্টের জন্য হেরে যান রীতিকা। এরপরই অবসাদে ভুগতে শুরু করেন তিনি।

প্রতিযোগিতার সময় তার বাবা ও চাচা দুজনই উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তারা কেউই মেয়ের আঘাতটা অনুমান করতে পারেননি।

রীতিকার চাচাত ভাই হরবিন্দর ফোগত জানিয়েছেন, এই আকস্মিক ও অপ্রত্যাশিত অঘটনের ঘটনায় পুরো পরিবারই শোকাচ্ছন্ন। নবীন এই ক্রীড়াবীদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশটির ক্রীড়াঙ্গনেও।

Advertisement

হরিয়ানার চারখি দাদরা জেলার পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট রাম সিং বিষ্ণোই জানিয়েছেন, পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। রীতিকার আত্মহত্যার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

মৃত রীতিকার চাচাত বোন গীতা ২০১০ কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের হয়ে স্বর্ণ জিতেছিলেন। তিনিই ভারতের প্রথম নারী কুস্তিগির হিসেবে ২০১২ সালে অলিম্পিকে অংশ নেন। গীতার জীবনকাহিনী নিয়েই নির্মিত হয় আমির খান অভিনীত বিখ্যাত ভারতীয় সিনেমা ‘দঙ্গল’।

এসএস/জিকেএস

Advertisement