লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় ১৭ বছরের এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে হাত-পা বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় এক জনপ্রতিনিধি বিচারের আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কেরোয়া গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) হোসেন আহাম্মদ ধর্ষণের আলামত নষ্ট করে অভিযুক্তের পক্ষ নিয়েছেন। এ ঘটনায় বিচারের দাবি জানিয়ে সোমবার (২৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন কিশোরীর মা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অভিযোগটি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানায়, ১৭ নভেম্বর দুপুরে ওই গ্রামের এক রিকশা চালকের প্রতিবন্ধী মেয়েকে ঘরে রেখে তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে যায়। এ সময় একই বাড়ির সদু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (২৭) ওই মেয়েকে কৌশলে তাদের পরিত্যক্ত একটি ঘরে ডেকে নেয়। এ সময় জোরপূর্বক হাত-পা বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে জাহাঙ্গীর। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে দেখতে পেয়ে পরিবারের অন্য লোকজন কিশোরীর পরিবারকে খবর দেয়। এরপর থেকে এ ঘটনার বিচার করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে তালবাহানা করছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য।এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য হোসেন আহাম্মদ বলেন, আমার কাছে দুই পক্ষের লোকজন এসেছিলো। আমি কিশোরীর পরিবারকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি। বিচারের নামে কালক্ষেপণের অভিযোগ সত্য নয়। রায়পুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুন নাহার বলেন, ধর্ষণের অভিযোগটি পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাজল কায়েস/এআরএ/পিআর
Advertisement