মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসার নামে প্রতারণার অভিযোগে নিওলাইফ গ্লোবাল প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের এমডিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন নিওলাইফ গ্লোবাল প্রাইভেট লিমিটেডের এমডি ও সিইও মো. নূরুল আমীন (৪০), ফিন্যান্স ডিরেক্টর মো. রিয়াজ উদ্দীন (৩৫) ও হেড অব মার্কেটিং মঞ্জুরুল ইসলাম রাসেল (৩৫)।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান বলেন, ‘নিওলাইফ গ্লোবাল প্রাইভেট লিমিটেড এক বছরের বেশি সময় ধরে এমএলএম ব্যবসা করে আসছে। প্রতারক চক্রগুলো দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সেমিনারে ঘোষণা করে ৪০ লাখ টাকার পণ্য কিনতে পারলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একটি গাড়ি দেয়া হবে। এছাড়া এক কোটি ৩৫ লাখ টাকার পণ্য কিনলে ডায়মন্ড পদবী পাবে। যাতে প্রতিমাসে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা উপার্জন করা সম্ভব হবে। এভাবেই শতশত ব্যক্তির কাছ থেকে ডায়মন্ড পদবী দেয়ার কথা বলে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘একসময় কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে তারা সকল তথ্য মুছে দেয়। এর প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রতারক চক্রটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিল। যে কারণে তাদের শনাক্ত করতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। এই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন কোনো ছাড় দেয়া হবে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অপরাধের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এই চক্রটি ৩০ টাকা দরে মাগুরা থেকে মাশরুমের পণ্য গ্রাম্য ডাক্তার দিয়ে প্রস্তুত করে প্রতি ফাইল ১ হাজার ৫৬০ টাকা দরে ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে বিক্রয় করত। প্রতারণার অন্যতম কৌশল ছিল মাশরুম বিক্রয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের অনুমতি না নিয়েই নিওলাইফ গ্লোবাল প্রাইভেট লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানটি পণ্য বিক্রির আড়ালে ভয়ঙ্কর প্রতারণার চক্র গড়ে তোলে। এ বিষয়ে আরও খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে, তদন্ত চলছে।’
Advertisement
টিটি/এমএইচআর/জিকেএস