করোনায় লকডাউনের সময় সরকারি ড্রাইভারদের অবৈধভাবে ওভারটাইমের অর্থ নেয়ার ঘটনা তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিন সদস্যের কমিটি করে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে অনুসন্ধান শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করতে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।
আদালতে এদিন শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ২৬ মার্চ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সারাদেশে লকডাউন ছিল। তখন সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল এবং সব ধরনের যানবাহনও বন্ধ ছিল। এরপরও সরকারি অফিসের চালকরা প্রতিমাসে ২৫০ ঘণ্টা করে ওভারটাইমের জন্য প্রায় তিন কোটি টাকা অতিরিক্ত অর্থ বেতন-ভাতা হিসেবে নিয়েছেন।
Advertisement
‘এভাবে কাজ না করেও চালকরা সরকারি রাজস্ব খাত থেকে অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছেন। এটি শুধু বেআইনি নয় বরং অনৈতিক ও সরকারি চাকরি আইনেরও পরিপন্থী। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধও। এ কারণে বিষয়টি তদন্ত করে পরিশোধিত টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দেয়া এবং সংশ্লিষ্ট চালক ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। নোটিশে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার পরে পরে রিট করা হয়েছিল।’
মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার এই রিট করেছিলেন।
রিটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সড়ক ও জনপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহা হিসাব নিয়ন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিবহন পুলের অতিরিক্ত সচিবকে বিবাদী করা হয়েছিল।
রিটে ওই সময়ে অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার ঘটনায় সেই অর্থ ফেরত চেয়ে করা রিটের ওপর শুনানি নিয়ে আজ এ আদেশ দেন আদালত।
Advertisement
এফএইচ/এআরএ/এমকেএইচ